মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হোয়াইট হাউসের ক্ষমতা দখল নিয়ে ট্রাম্প-বাইডেনের মধ্যে চলছে তুমুল ভোটের লড়াই। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে জয় পেয়েছেন। এ রাজ্যের ১০টি ইলেকটোরাল কলেজের ভোট পড়েছে তার ঝুলিতে। এ নিয়ে ২৪৮টি ইলেকটোরাল কলেজের দখল নিলেন তিনি। জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৭০টি।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে বাইডেনের আরো ২২টি ইলেকটোরাল কলেজ প্রয়োজন। মিশিগান ও নেভাদায় এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছেন বাইডেন। এই দুই রাজ্যে ইলেকটোরাল কলেজের সংখ্যাও ২২। তবে নেভাদায় এখনো এক তৃতীয়াংশ ভোট গণনা করা হয়নি। অপরদিকে মিশিগানে ভোট গণনা প্রায় শেষ।
অপরদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ২১৪টিতে নিশ্চিতভাবে জয়ী হয়েছেন। ফলাফল বাকি আছে আরো ছয়টি রাজ্যে। সেগুলো হলো- জর্জিয়া ১৬টি, আলাস্কা ৩টি, মিশিগান ১৬টি, নেভাদা ৬টি, নর্থ ক্যারোলাইনা ১৫টি এবং পেনসিলভেনিয়া ২০টি।
এই উইসকনসিন অঙ্গরাজ্য এবারের নির্বাচনের প্রথম থেকেই ব্যাটলগ্রাউন্ড হিসেবে পরিচিত। প্রথম থেকেই এই রাজ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। তবে বাইডেন জয় পেলেও রিপাবলিকান ট্রাম্পের সঙ্গে তার ব্যবধান সামান্যই।
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের এক অনলাইন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই রাজ্যে ট্রাম্পের চেয়ে ২০ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন বাইডেন। যদি ভোট পুনরায় গণনা করা হয় তারপর ট্রাম্পের এখানে জয়ের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত উইসকনসিনের সাবেক গভর্নর স্কট ওয়াকারও বলেছেন, তারা ধারণা করেছিলেন, এখানে ট্রাম্পের হারা অবশ্যম্ভাবী। প্রসঙ্গত, ট্রাম্প গত নির্বাচনে এই উইসকনসিনে জয়ী হয়েছিলেন।
এদিকে গত নির্বাচনে জেতা অ্যারিজোনাতেও হেরেছেন ট্রাম্প। প্রায় দুই যুগ পর রিপাবলিকান ঘাঁটি অ্যারিজোনায় ডেমোক্র্যাটদের প্রথম জয় এনে দিলেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেন। ফলে রাজ্যটির ১১টি ইলেকটোরাল ভোটই যাচ্ছে নীল শিবিরে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ফল নির্ধারক অঙ্গরাজ্যগুলোতে বাইডেন-ট্রাম্পের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য প্রায় ২১ কোটি ভোটার ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে আগাম ভোট দিয়েছেন প্রায় ১০ কোটি ভোটার।