প্রবাসীদের ‘অনিষ্পন্ন’ পাসপোর্টের আবেদন এক সপ্তাহে নিষ্পত্তি: বাংলাদেশ


বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাসপোর্টের অনিষ্পন্ন আবেদনগুলো এক সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে।

সম্প্রতি এ বিষয়ে এমআরপি/এমআরভি সিস্টেমে ‘এফিস সফটওয়্যার আপগ্রেডেশন’ নিয়ে এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, আঙ্গুলের ছাপ শনাক্ত করার পদ্ধতিটি’ পুরোপুরিভাবে কখনো বন্ধ হয়নি। গত মাসের প্রথমদিকে সিস্টেমে কোটা পূরণ হওয়ায় সিস্টেমটির গতি কমে যায়।

বর্তমানে এসব সমস্যার সমাধান হয়েছে জানিয়ে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত ১২ অগাস্ট প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রায় পাঁচ হাজার ও পরদিন ছয় হাজারের অধিক আবেদনপত্র এফিস সফটওয়্যার সিস্টেমে প্রসেস করা হয়েছে।

১৬ ও ১৭ অগাস্ট ২১ হাজার ৬০টিসহ আনুমানিক দেড় লাখ আবেদনপত্রের মধ্যে চার দিনে সর্বমোট ৩২ হাজার ৬০টি এমআরপি আবেদনপত্র এই সিস্টেমে প্রসেস করা হয়েছে।

“আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই সব পেন্ডিং আবেদনপত্র নিষ্পত্তি এবং এই বিষয়ে আরও অগ্রগতি হবে।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “কিছু বৈদেশিক মিশন প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাসপোর্ট প্রদান বন্ধ আছে বলে বিজ্ঞপ্তি দেয়। এছাড়া গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে ‘অতিরঞ্জিত’ খবর প্রকাশ করা হয়েছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত ।”

এতে বলা হয়, দেশে অবস্থিত ৭২টি অফিসে ই-পাসপোর্ট চালু করা সম্ভব হলেও বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিদেশে ৮০টি বাংলাদেশ মিশনের কোনোটিতেই এখন পর্যন্ত ই-পাসপোর্ট চালু করা সম্ভব হয়নি।

ফলে মিশনগুলো থেকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) দিতে হচ্ছে।

দেশে এমআরপি চালু হয় ২০১০ সালের এপ্রিলে। ফলে এই কার্যক্রমে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও সিস্টেমগুলো ১১ বছরের অধিক পুরোনো উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, যন্ত্রপাতির ওয়ারেন্টি পিরিয়ড বা ব্যবহার উপযাগিতা অনেক আগেই পার হয়েছে। অতি পুরোনো এসব এমআরপি সিস্টেমটিকে সচল রাখতে অনেক ধরনের আপগ্রেডেশন কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে।

এতে বলা হয়, ফিঙ্গারপ্রিন্ট আইডেন্টিফিকেশনের জন্য ‘এফিস সফটওয়্যার আপগ্রেডেশন’ এবং পরবর্তী সময়ে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চুক্তি করা হয়েছে।

তাছাড়া বিদেশে পাসপোর্ট প্রদানের জন্য অতিরিক্ত ৪০ লাখ এমআরপি বুকলেট সম্প্রতি আমদানি করা হয়েছে।

এমআরপি সিস্টেমটি পুরোনো হয়ে যাওয়ায় মাঝে-মধ্যে যন্ত্রপাতি ও সফটওয়্যার আপগ্রেডেশনের প্রয়োজন হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, “এফিস সফটওয়্যার আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেমটি পুরোপুরিভাবে কখনো বন্ধ হয়নি, গতি হ্রাস পেয়েছিল। এতে আতঙ্কিত হওয়ার মত কিছু ছিল না।

অতি পুরোনো এমআরপি সিস্টেমের এ ধরনের সাময়িক প্রতিবন্ধকতা পূর্বে অনেকবার হয়েছে এবং তা সমাধানও করা হয়েছে।

ই-পাসপোর্ট পুরোপুরি চালু না করা পর্যন্ত মাঝে মাঝে এ ধরনের সাময়িক সমস্যা হওয়া অবান্তর নয় বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

প্রিন্টিং মেশিনজনিত কারণে কখনও পাসপোর্ট ছাপাও বন্ধ হয়নি বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *