বাংলাদেশে ২৫ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত ভারতের


পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই বাংলাদেশে জরুরি ভিত্তিতে ২৫ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিচ্ছে ভারত।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির একটি সূত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, জোরালো বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে ভারত নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে।

গত সোমবার থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। এরপর থেকে ২৫০ ট্রাক পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের বিভিন্ন সড়কে আটকা পড়েছে।

লোডিং থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ৯-১০ দিন পার হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত গরম ও বৃষ্টির কারণে এসব পেঁয়াজে পচন ধরতে শুরু করেছে। এমন অবস্থায় এসব পেঁয়াজ রফতানি না করলে, আমদানিকারকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এই নিয়ে দু’দেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ও আমদানি রপ্তানি সংস্থাগুলোর মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হলে মঙ্গলবার ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন স্থলবন্দরে কত ট্রাক রয়েছে এবং তাতে পেঁয়াজের পরিমাণ কত তা সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে সত্ত্বর জানাতে বলা হয়। সেই কারণে তাদের ধারণা বুধবার যে কোনো সময় ট্রাক ও ওয়াগনগুলো বাংলাদেশে ঢোকার আনুমতি দিতে পারে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রাণালয় জানিয়েছেন কার্তিক চক্রবর্তী।

হিলি স্থল বন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, বিভিন্নস্থল বন্দরে এখন যে সব পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক ওয়াগন দাঁড়িয়ে আছে এগুলো বাংলাদেশে ঢোকার অনুমতি দেওয়া না হলে আচিরেই বেশিরভাগ পেঁয়াজ পচে নষ্ট হবে, এতে দুদেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরাই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

হারুন-উর রশিদ জানান, বিভিন্ন স্থল বন্দরে আনুমানিক ২০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ ভর্তি ট্রাক অপেক্ষা করছে, যেগুলো গত রবিবার এলসির বিপরীতে সঠিকভবে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েই এসেছে এবং তা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ার কথা নয়, তার পরেও কেন এই বিপুল পরিমাণ পেযাঁজ বাংলাদেশে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না? এই পচনশীল পণ্যটি বাংলাদেশে না গেলে ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতির সন্মুখীন হতে হবে দু’দেশের পেঁয়াজ ব্যসায়ীদেরকে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *