নোয়াখালীতে তিন বছরের শিশু সন্তানসহ এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত গৃহবধূর নাম পান্না বেগম (২২)। বাবার বাড়ি একই উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নে। স্বামীর নাম সুমন, তিনি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।
জানা যায়, পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে পান্না বেগমের ঝগড়া-বিবাদ চলছিল। রোববার সকালে শ্বশুর বাড়ির লোকজন মা ও তিন বছরের শিশু সন্তানকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
এরপর তারা আশপাশের লোকজনকে জানালে তারা এসে থানায় খবর দেন। কিন্তু পুলিশ আসার আগেই মা-সন্তানের মরদেহ নামিয়ে ফেলে পরিবারের লোকেরা। পরে পুলিশ এসে শিশু সন্তানসহ পান্না বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবদের জন্য শ্বশুর আইয়ুব আলী ও শাশুড়ি হাসিনা আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।
নোয়াখালী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গলায় ফাঁস দিয়ে মা ও সন্তান আত্নহত্যা করেছে বলা হলেও পুলিশ ঘটনাস্থলে যাবার আগে তারা মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে ফেলে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’জনকে আটক করা হয়েছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ তদন্তের পর জানা যাবে।