বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন। এ তো বড় অর্জন বাংলাদেশের ক্রিকেটে আগে আসেনি। ফাইনালের স্নায়ুচাপ ধরে রেখে যেভাবে খেললেন আকবর আলী, পারভেজ হোসেন ইমন, শরিফুল ইসলামরা। এক কথায় দুর্দান্ত!
বিশ্বকাপ জিততে ভাগ্যও লাগে। অনেক সময় এমনও দেখা যায়, গ্রুপপর্বে ধুঁকতে ধুঁকতে নকআউটে ওঠা দল শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়। বাংলাদেশেরও কি তেমন ভাগ্যের সাহায্য লেগেছে?
শুনতে কিছুটা অবাক লাগতে পারে, তবে সত্য হলো-বিশ্বকাপ জয়ের এই মিশনে একটি ম্যাচও হারেনি বাংলাদেশ, এক ফাইনাল ছাড়া কোনো ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে সুযোগও দেয়নি। হয়েছে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন। তবে কি সব ম্যাচই জিতেছে যুব টাইগাররা? এমন বললেও অবশ্য কিছুটা ভুল হবে।
কেননা গ্রুপপর্বে একটি ম্যাচে জয় পায়নি বাংলাদেশ, আবার হারেওনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। যে দিনটি ছিল এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে অস্বস্তির দিন। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি বোলারদের তোপে ১০৬ রান তুলতেই ৯ উইকেট হারিয়ে বসেছিল জুনিয়র টাইগাররা। পুরো ম্যাচ হলে কি হতো, বলা মুশকিল।
তবে ওই ম্যাচটি হারলেও বাদ পড়ার সম্ভাবনা ছিল না বাংলাদেশের। কেননা গ্রুপপর্বে আগের দুই ম্যাচে জিম্বাবুয়ে আর স্কটল্যান্ডকে উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করে ফেলেছিল তারা। তবে হারলে একটা দাগ তো পড়তোই ।
সেই দাগটা পড়েনি। অপরাজিত থেকেই ফাইনালে ওঠেছে বাংলাদেশ। অপরাজিত থেকেই জিতেছে শিরোপা। দেশের ক্রিকেটে এক সোনালি অধ্যায়ই লিখে দিলেন আকবর আলী, শরিফুল ইসলামরা।