২০ বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে আফগানিস্তানে থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন সেনাবাহিনীর ১৮ এয়ারবোর্ন কোরের ৮২তম এয়ারবোর্ন ডিভিশনের কমান্ডার মেজর জেনারেল ক্রিস ডনাহিউ যুক্তরাষ্ট্রের শেষ সৈন্য হিসেবে আফগানিস্তানের মাটি ছাড়েন।
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ শেষ করে আফগানিস্তানের মাটি থেকে দেশটির শেষ সৈন্য চলে যাওয়ার পর গুলি ফুটিয়ে উল্লাস করে তালেবান।
পেন্টাগনে এক ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাকেনজি জানান, কাবুলের স্থানীয় সময় সোমবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে ছেড়ে আসা শেষ সি-১৭ ফ্লাইটে ছিলেন আফগানিস্তানে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত রস উয়িলসন।
“যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীতে থাকা প্রতিটি সদস্য এখন আফগানিস্তানের বাইরে। শতভাগ নিশ্চিত করে এটি বলতে পারি আমি।
“এই প্রস্থানের সঙ্গে অনেক হৃদয়বিদারক ঘটনা যুক্ত আছে। যাদের সরিয়ে আনতে চেয়েছিলাম তাদের সবাইকে আনতে পারিনি আমরা। কিন্তু আমার মনে হয়, যদি আরও ১০ দিনও থাকতাম তবুও সবাইকে নিয়ে আসতে পারতাম না আমরা,” বলেন তিনি।
তালেবান মুখপাত্র ক্কারি ইউসুফ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের শেষ সৈন্য কাবুল বিমানবন্দর ছেড়েছে আর আমাদের দেশ সম্পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করেছে।”
সব মার্কিন সেনা চলেও যাওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের একটি দল যাদের সংখ্যা দুইশর নিচে বলে হিসাব দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের, কাবুল ছাড়তে চেয়েও শেষ ফ্লাইটে উঠতে পারেননি। তাদের সংখ্যা ১০০ এর একটু উপরে হতে পারে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন মঙ্গলবারের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীগুলোর প্রত্যাহারে তার বেঁধে দেওয়া চূড়ান্ত সময়সীমার সিদ্ধান্তে অটল থাকার পক্ষে কথা বলেছেন। তবে তালেবান ক্ষমতায় আসায় যারা আফগানিস্তান ছাড়তে চেয়েছেন তারা সবাই এই সময়সীমার মধ্যে দেশটি ছাড়তে পারেননি।
এ বিষয়ে বাইডেন বলেন, যারা আফগানিস্তান ছাড়তে চায় তাদের নিরাপদে দেশটি ত্যাগ করতে দেওয়ার জন্য তাদের দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পালনে তালেবানকে চাপে রাখবে বিশ্ব।