আবরার হত্যায় গ্রেফতার হলেন যারা

Banglashangbad

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বীকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত (১০ অক্টোবর) মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এদের মধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত ১২ জন এবং এজাহারবহির্ভূত চারজন।

গ্রেফতারদের মধ্যে এজাহারভুক্তরা হলেন-

১. মেহেদী হাসান রাসেল
২. মো. অনিক সরকার
৩. ইফতি মোশাররফ সকাল
৪. মো. মেহেদী হাসান রবিন
৫. মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন
৬. মুনতাসির আলম জেমি
৭. খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির
৮. মো. মুজাহিদুর রহমান
৯. মুহতাসিম ফুয়াদ
১০. মো. মনিরুজ্জামান মনির
১১. মো. আকাশ হোসেন ও
১২. হোসেন মোহাম্মদ তোহা।

গ্রেফতারদের মধ্যে এজাহারবহির্ভূত চারজন হলেন-

১. ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না
২. অমিত সাহা
৩. মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান ও
৪. শামসুল আরেফিন রাফাত।

আবরার হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতারকৃতদের বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও সিটিটিসি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরার ফাহাদ রাব্বীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এজাহার দায়ের করার পূর্বেই সোমবার (৭ অক্টোবর) ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের প্রত্যেকেই পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ৮ অক্টোবর তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরও পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আজ (১০ অক্টোবর) আরও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।’

তিনি বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে যারাই প্রত্যেক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকুক, প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে। মামলাটি পেশাদারিত্ব ও সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে যদি কারও কাছে কোনো তথ্য থাকে, তাহলে আমাদেরকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন।’

রোববার (৬ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে বুয়েটের সাধারণ ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফাহাদকে শেরেবাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢামেক ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. মো. সোহেল মাহমুদ বলেন, বাঁশ বা স্ট্যাম্প দিয়ে পেটানো হয়ে থাকতে পারে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে। এর ফলেই রক্তক্ষরণ বা পেইনের (ব্যথা) কারণে ফাহাদের মৃত্যু হয়েছে।