আবারো দখল কিনব্রিজ সংলগ্ন সুরমার তীর


ফের দখল হয়ে গেছে সুরমার তীর। নগরবাসীর প্রাণ জুড়ানোর জায়গা হিসাবে পরিচিত কিনব্রিজ সংলগ্ন সুরমার তীরে আবারো রমরমা বাণিজ্য! চা-পান-সিগারেট আর চটপটিওয়ালাদের ছড়িয়ে বসানো চেয়ার আর ভ্যানের কারণে পা ফেলা দায় অবস্থা! অথচ মাত্র কয়েকমাস আগে ঢাকঢোল পিটিয়ে মুক্ত করা হয়েছিল এই স্থানটি।

সিলেটের নাগরিক জীবনে প্রাণ খুলে শ্বাস নেয়ার মতো খুব বেশি জায়গা নেই। যা আছে তারমধ্যে একটা সুরমা নদীর তীর। কর্মক্লান্ত দিনের শেষে বা দিনের ব্যস্ততা শুরুর আগে একটু স্বস্তির আশায় সচেতন নাগরকিবৃন্দ ভীড় করেন কিনব্রিজ সংলগ্ন সুরমার তীরে। সার্কিট হাউসের নান্দনিক সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি সুরমার শীতল হাওয়া উপভোগ করা যায় চমৎকার ইট-পাথর আর সিমেন্টে বাঁধানো এই তীর থেকে। নদীর এই মুক্ত বাতাস যান্ত্রিক জীবনে কর্মব্যস্ততার মাঝেও মানুষকে প্রাণ খুলে বাঁচতে দেয়।

কিন্তু এই জায়গাটুকু মুক্তি পাচ্ছে না চটপটি আর ফুচকা ব্যবসায়ীদের দখল থেকে। প্রায়ই তাদের উচ্ছেদ করতে তৎপরতা শুরু করেন সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তবে তা মাত্র কয়েকদিনের জন্য। অবৈধভাবে ব্যবসায়ীরা আবারো জায়গাটি দখল করে নেয়। এ কাজে তাদের সহযোগিতা করেন কয়েকটি অসাধু মহল।

নগরবাসীর স্বস্তির এই জায়গাটি দখল হয়ে যাওয়ার কারণে জল-স্থল দু’দিকের পরিবেশেই মারাত্মক বিপর্যয় নেমে আসে।

গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে জায়গাটি মুক্ত করেছিল সিলেট সিটি কর্পোরেশন। ৫/৬ মাস মুক্তই ছিল। এরপর গত ৩/৪ মাস থেকে আস্তে আস্তে দখল হতে শুরু করে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সরজমিনে কিনব্রিজ এলাকায় গেলে দেখা যায়, প্রায় অর্ধশতাধিক চটপটি আর ফুচকা ওয়লা তাদের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। অবস্থা এমন যে, পা ফেলারই জায়গা নেই।

অবৈধভাবে জায়গাটি দখল করে ব্যবসা করা প্রসঙ্গে কথা বলতে চাইলে একজন ব্যবসায়ী চরম বিরক্তি প্রকাশ করেন।

-আরে ভাই ব্যবসার সময়ে বিরক্ত করবেন না। হাঁটার জন্য তো রাস্তা আছেই।