অর্থনৈতিক দৈন্যদশা কাটাতে নতুন করে অন্তত ৫০টি পণ্যের আমদানি শুল্ক বাড়াচ্ছে ভারত। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট ঘোষণার দিনই এই শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা আসতে পারে। শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু বিজনেস লাইন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের লক্ষ্য অনাবশ্যক পণ্য আমদানি কমানো। এ শুল্ক বৃদ্ধি ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির সুবিধা ভোগকারী চীন, আসিয়ানভুক্তসহ অন্যান্য দেশ থেকে সস্তায় পণ্য আমদানির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশি প্রস্তুককারকদের জন্য একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করবে।
কিছুদিন আগেই ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার হার কমিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এ পরিপ্রেক্ষিতে রাসায়নিক, হস্তশিল্প, জুয়েলারি, কাঠের আসবাবপত্র, ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীর শুল্ককর বাড়ানোর ঘোষণা দিতে পারেন দেশটির অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
এ সিদ্ধান্তের ফলে স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষ করে যাদের বিদেশ থেকে চার্জার, ভাইব্রেটর মোটর, রিঙ্গারের মতো যন্ত্রাংশ আমদানি করতে হয়, তাদের ভারতের বাজারে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।
এছাড়া আমদানি-রফতানিতে শুল্ক বৃদ্ধির ফলে আইকিয়ার মতো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো যারা ভারতে নিজেদের ব্যবসা বাড়ানোর চেষ্টায় রয়েছে, তাদের পরিকল্পনা বাধাগ্রস্ত হতে পারে। আইকিয়া এর আগেও ভারতের উচ্চ শুল্কহার তাদের ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে দাবি করেছিল।
সংবাদ মাধ্যমটির সূত্রমতে, ভারত সরকার আগামী অর্থবছর ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ককর বাড়াতে পারে। এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে স্বর্ণ, গাড়ির যন্ত্রাংশসহ ৭৫টিরও বেশি পণ্যের আমদানি শুল্ক বাড়িয়েছিল দেশটি।
কয়েক বছর ধরেই ভারতে রফতানির তুলনায় আমদানি বাড়ছে কয়েকগুণ। কিন্তু গত এপ্রিল-ডিসেম্বর সময়ে হঠাৎ করেই ৮ দশমিক ৯ শতাংশ কমে যায় তাদের আমদানির হার, বিপরীতে রফতানি কমেছিল মাত্র ২ শতাংশের মতো।