আরো চার-পাঁচ বছর খেলতে চান ইমরুল


ক্রীড়া ডেস্ক :: ক্রিকেটের সব থেকে বড় আসর বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দল ঘোষণা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সেখানে সুযোগ পায়নি অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস ও পেসার তাসকিন আহমেদ। যদিও বিপিএলের আগে হোম কন্ডিশনে ধারাবাহিক ছিলেন টপঅর্ডার এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। কিন্তু তারপরও জায়গা হয়নি তার। বিশ্বকাপে জায়গা না পেলেও এখনই অবসর নিয়ে কিছু ভাবছেন না ইমরুল। বাংলাদেশ ক্রিকেতকে আরো ৪-৫ বছর দিতে চান ৩২ বছর বয়সী ইমরুল।

ওপেনিংয়ে তামিম ইকবাল অটোমেটিক চয়েজ। তার সঙ্গী হিসেবে ওপেনিংয়েযদিও কার নাম প্রথমে নিতে হয় সে হলো ইমরুল কায়েস। ওপেনিং জুটিতে তামিম-ইমরুলকেই দেশসেরা জুটি ভাবা হয়। তার প্রমাণও দিয়েছেন দুজন। ২০১১ বিশ্বকাপ এবং ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে ছিলেন ইমরুল কায়েস। মাঝে সুযোগ হয়নি অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে হওয়া ২০১৫ বিশ্বকাপে।

গত মাসে আবাহনীর বিপক্ষে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের জার্সিতে ১২৬ রানের ইনিংস খেলা ইমরুলের বিশ্বকাপে না থাকার বিষয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানান, ফর্ম কিংবা ফিটনেস নয়, ইমরুলকে নেয়া হয়নি ডানহাতি-বামহাতি কম্বিনেশন ঠিক রাখার জন্যই। ২০১৯ বিশ্বকাপের দল আর ইমরুলের বাদ পড়ার কারণ নিয়ে প্রধান নির্বাচক জানান, ‘অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করে আমাদের স্কোয়াড সাজানো হয়েছে। যেহেতু ওপেনিংয়ে তামিমের জায়গা পাকা। তাই তার সঙ্গী হিসেবে একজন ডানহাতি ওপেনারকেই নিতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট। আমাদের ২০ জনের যে পুল আছে সেটার মধ্যে ইমরুল আছে। টিম ম্যানেজমেন্ট টপঅর্ডারে ডানহাতি এবং বামহাতি ব্যাটসম্যানের একটা কম্বিনেশন চাচ্ছিলেন। সেই বিবেচনা করেই ইমরুলকে অফ করে রাখা হয়েছে।’

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ইমরুলের ভেরিফাইড পেজে বুধবার  তিনি এক পোস্টে লেখেন, ‘আমি একটা জিনিস কয়দিন যাবৎ লক্ষ্য করছি, আমাকে নিয়ে অনেকে পোস্ট করছেন আমি নাকি ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি! এটা সত্যি আমার জন্য অনেক দুঃখজনক এই খবরগুলো। আমার ১১ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে আমি সব সময় দেশ ও দেশের মানুষকে ভালো কিছু দেয়ার চেষ্টা করেছি! কখনও আল্লাহর রহমতে সফল হয়েছি, আবার ব্যর্থও হয়েছি। তবে যদি বাংলাদেশ ক্রিকেটে ১% ও কিছু দিতে পেরে থাকি, তো আমি নিজেকে স্বার্থক মনে করি। ক্রিকেট আমার ভালোবাসা, আমি বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছি তার মানে এই না যে ক্রিকেট ছেড়ে দিবো। আমার সামনে যখনই সুযোগ আসবে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে কিছু দেওয়ার আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। সবাই আমার পাশে থাকবেন এবং আমার জন্য দোয়া করবেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার সকল ভক্ত ও হেটার্সদের!!’

পরে এক ভিডিও বার্তায় নিজের অবসর নিয়ে ইমরুল জানান, ‘একটা জিনিস বার বার ঘুরেফিরে আসছে আমার অবসর নিয়ে। যে আমি যদি বিশ্বকাপের দলে সুযোগ না পাই তাহলে অবসর নিয়ে নেব। সত্যি বলতে কী আমি এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি কিংবা কাউকে বলিওনি। আমার ইচ্ছা এবং স্বপ্ন ছিল ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলা। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে আমি স্কোয়াডে সুযোগ পাইনি। কিন্তু তার মানে এই না যে আমার ক্যারিয়ারটা শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমি চেষ্টা করবো নিজেকে ফিট রাখতে, নিজের কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যাব। আমি এখনও বিশ্বাস করি বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এখনও আমার ৪-৫ বছর কিছু দেওয়ার আছে। আমি ওইভাবেই নিজেকে মানসিকভাবে তৈরি রাখি। আশা করি আমি যখনই সুযোগ পাব, সুযোগটাকে কাজে লাগাবো। আমার জন্য দোয়া করবেন, ইনশাল্লাহ আমি যেন আরও ৪-৫ বছর সুস্থ থেকে খেলতে পারি। ধন্যবাদ।