আ.লীগ নেতার ছেলের হামলায় সাংবাদিক আহত


নওগাঁর ধামইরহাটে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের ছবি তুলতে গিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের হামলার শিকার হয়েছেন ‘সময়ের আলো’ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি অরিন্দম মাহমুদ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে ধামইরহাট উপজেলা দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত অরিন্দম মাহমুদ ‘সময়ের আলো’ পত্রিকার ধামইরহাট উপজেলা প্রতিনিধি। হামলাকারী ওয়াদুদ সরকার সেতু উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ওবায়দুল হক সরকারের বড় ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পত্নীতলা উপজেলার সুবরাজপুর গ্রামে একটি বিয়ের দাওয়াত খেতে আসছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া। দুপুর ১২টার দিকে ধামইরহাট পৌঁছলে দলীয় নেতাকর্মীরা ডেপুটি স্পিকারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় ছবি তুলতে গেলে স্থানীয় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ওবায়দুল হক সরকারের বড় ছেলে ওয়াদুদ সরকার সেতু নিজের সেলফি তোলাকে প্রাধান্য দিয়ে সাংবাদিক অরিন্দম মাহমুদকে ছবি তুলতে বিঘ্ন সৃষ্টি করে।

এ সময় অরিন্দম মাহমুদ ঠিকমতো ছবি ওঠাতে না পেরে ওয়াদুদ সরকারকে একটু সরে যেতে বলেন। এতে ওয়াদুদ সরকার ওই সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ক্যামেরা ভাঙচুরের হুমকি দেন। পরে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া ধামইরহাট ত্যাগ করলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অরিন্দমকে ওয়াদুদ সরকার আবারও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে তিনি সাংবাদিক অরিন্দম মাহমুদের অণ্ডকোষে লাথি মারেন। এতে আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলে অসুস্থ হয়ে পড়েন অরিন্দম। তাৎক্ষণিক তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অন্যায়ভাবে হামলার প্রতিবাদ করলে হামলাকারী ওয়াদুদ সরকার তাৎক্ষণিক পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মুকিত কল্লোল ও উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানের ওপরও চড়াও হন।

সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গণপতি রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দেলদার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান আজাহার আলী ও পৌর আওয়ামী লীগ সম্পাদক মুক্তাদিরুল হক। ঘটনার বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সভায় তীব্র নিন্দা ও হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে করেছেন উপজেলা প্রেস ক্লাবের সদস্যরা।

ধামইরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হাসান সরদার বলেন, ভিআইপি প্রটোকল শেষে সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।