আ.লীগ নেতার স্ত্রীর গলা কেটে দিলেন বাড়ির দুই কেয়ারটেকার

banglashangbad

নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক আওয়ামী লীগ স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে বাড়ির দুই কেয়ারটেকার। ওই আওয়ামী লীগ নেতার নাম হিটলার চৌধুরী ভলু। তিনি পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র।

শুক্রবার ভোর তিনটার দিকে সৈয়দপুর পৌর শহরের গোলাহাট মহল্লায় ওই নেতার বাসভবনে তার স্ত্রী সুরভী ইসলাম চৌধুরী পপিকে (৩৫) হত্যার চেষ্টা করে তারা। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে পরে অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

চিকিৎসাধীন পপির গলায় ও হাতে চিকিৎসকরা ৪০টির অধিক সেলাই করেছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। পুলিশ এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছে। সুরভী ইসলাম চৌধুরী পপি হিটলার চৌধুরী ভলুর দ্বিতীয় স্ত্রী।

জানা যায়, হিটলার চৌধুরী ভলুর শহরে দুইটি বাড়ি। পাওয়ার হাউস এলাকায় একটি ও গোলাহাট মহল্লায় আরেকটি। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পপির ছোট মেয়ে তাসফিয়া লাবিবা চৌধুরী অদ্রি (৭) সাংবাদিকদের জানায়, তার বাবার কাজের জন্য রাখা দুই কেয়ারটেকার জীবন (২১) ও রাজা (১৭) গভীর রাতে এসে ডাকাডাকি করলে মা দরজা খুলে দেয়। ওই সময় বাবা পাওয়ার হাউস এলাকার ছিলেন। ঘরে ঢুকে কেয়ারটেকার দুইজন হঠাৎ চাকু বের করে আম্মুর গলা কাটতে থাকে। আম্মু নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করলে হাত কেটে যায়। এ সময় আমি ও আম্মু চিৎকার করতে থাকলে জীবন ও রাজা পালিয়ে যায়।

এলাকাবাসী জানায়, জীবন গোলাহাট মহল্লার মহম্মদ মুন্না এবং রাজা একই এলাকার মৃত সাগির হোসেনের ছেলে। এ ঘটনার পর তাদের এলাকায় আর দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। এলাকার সকলে জীবন ও রাজাকে ভলু চৌধুরীর বিশ্বস্ত বলে জানায়। তারা তার বাড়ির নিজের ছেলের মতো থাকতো।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা হিটলার চৌধুরী ভলু জানান, ঘটনার সময় তিনি পাওয়ার হাউস এলাকায় ছিলেন। খবর পেয়ে বাড়ি ছুটে আসেন এবং স্ত্রীকে প্রথমে সৈয়দপুর হাসপাতালে ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করেন।

তিনি জানান, যে ছেলে দুটো এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা আমারই সঙ্গে থাকে। কেন বা কি কারণে তারা এমনটা ঘটালো বুঝতে পারছি না। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করবো।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) আবুল হাসনাত ফিরোজ সাংবাদিকদের জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জীবনের বাবা মুন্নাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।