আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ১৮ হাজার দ্বীপের দেশটির এ নির্বাচনে ২০ হাজারের বেশি জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের আসনে প্রায় দুই লাখ ৪৫ হাজার প্রার্থী লড়ছেন। এ কারণে নির্বাচনকে বৈশ্বিক ইতিহাসের সবচেয়ে জটিল এক দিনের নির্বাচনগুলোর একটি বলে উল্লেখ করেছে অস্ট্রেলিয়ার থিংক-ট্যাংক দ্য লয়ি ইনস্টিটিউট।
নির্বাচনের প্রাথমিক ফল হয়তো কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জানা যাবে। কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফল সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগবে। ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচন কমিশন ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করবে মে মাসে।
দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট হতে এ নির্বাচনে লড়ছেন প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন সাবেক জেনারেল প্রবোয়ো সুবিয়ান্তো। এর আগে ২০১৪ সালের নির্বাচনেও তারা দু’জনই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচেত হওয়ার দু’বছর আগে ২০১২ সালে জাকার্তার গভর্নর হন উইদোদো। পরে ২০১৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় দারিদ্র্য, স্বজনপ্রীতি ও অসহিষ্ণুতা দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তিনি। এসময় তিনি দুর্নীতি বিরোধী এবং ‘জনগণের মানুষ’ হিসেবে অভিহিত হন। ক্ষমতাসীন হওয়ার পর তিনি প্রতিশ্রুতি পূরণে যথাসাধ্য চেষ্টা করেন।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী সুবিয়ান্তো দেশটির ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। তিনি তিন দশক ইন্দোনেশিয়া শাসন করা সাবেক একনায়ক জেনারেল সুহার্তোর মেয়ে জামাতা। সুহার্তোর পাশাপাশি তার বিরুদ্ধেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠেছিলো। তবে তিনি নিজেকে নিরাপরাধ দাবি করেন।