ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে বিক্ষোভকারীদের হামলায় ইরানকে দায়ী করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে এই হামলার জন্য ইরানকে বড় ধরনের মাশুল দিতে হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার নববর্ষের সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেয়া এক বার্তায় এ হুমকি দেন ট্রাম্প।
রোববার ইরাকে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়াদের ওপর মার্কিন বিমান হামলায় প্রায় ২৫ জনের প্রাণহানির ঘটনার পর মঙ্গলবার বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালায় ক্ষুব্ধ একদল বিক্ষোভকারী।
মার্কিন দূতাবাস আক্রান্ত হওয়ার পর নববর্ষের সন্ধ্যায় টুইটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, যে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি কিংবা প্রাণহানির জন্য ইরানকে বড় ধরনের মূল্য দিতে হবে। এটা কোনো সতর্কবার্তা নয়, হুমকি। পরে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার ইরাকের ওই অঞ্চলে তাৎক্ষণিকভাবে আরও সাড়ে সাতশ’ সৈন্য মোতায়েন করা হবে বলে ঘোষণা দেন।
এক টুইট বার্তা তিনি বলেন, বিশ্বের যেকোনো জায়গায় আমাদের স্বার্থ এবং জনগণকে রক্ষা করবে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের সামনে রাস্তায় শত শত বিক্ষোভকারী জমায়েত হয়ে টায়ারে অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় বিক্ষোভকারীদের অনেকেই দূতাবাসের প্রাচীর বেয়ে ওপরে উঠার চেষ্টা করেন।
ইট-পাথর, পানির বোতল নিক্ষেপ করে দূতাবাসে ভাঙচুর চালান তারা। পরে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। দূতাবাসে হামলার পেছনে ইরানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে ওয়াশিংটনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান।
সূত্র : বিবিসি।