নির্বাচন কমিশনে (ইসি) লাগা আগুনের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নে আরেকটি কমিটি গঠন করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
ইসি সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) পাঁচ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ইসির যুগ্ম-সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) মো. কামাল উদ্দিন বিশ্বাসকে এবং সহকারী সচিব (সেবা-২) খ ম আরিফুল ইসলামকে করা হয়েছে সদস্য সচিব।
কমিটির অন্য তিন সদস্য হলেন ইসির উপসচিব (সাধারণ সেবা) রাশেদুল ইসলাম, গণপূর্তের ই/এম বিভাগ-৮-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হালিম এবং গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ ইয়ামিন-উল-ইসলাম।
গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে সাড়ে ১০টার দিকে নির্বাচন ভবনের বেজমেন্টে আগুন লাগে। এরপর ৯ সেপ্টেম্বর আগুন লাগার কারণ ও উৎস নির্ধারণ, আগুন লাগায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের আগুন যাতে না লাগে, সে সংক্রান্ত সুপারিশ প্রদানের জন্য ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ইসি।
১২ সেপ্টেম্বর ইসির কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলে সেদিন ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন, নির্বাচন ভবনের বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। এতে তিন কোটি ৭৭ লাখ ২১ হাজার ১৬৯ টাকার ক্ষতি হয়।
তদন্ত কমিটির সুপারিশ তুলে ধরে ইসির অতিরিক্ত সচিব জানান, কমিশন ভবনে ইভিএম কাস্টমাইজ কক্ষের মতো অন্যান্য হাইটেক কক্ষে সার্বক্ষণিক স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রাখা এবং অতিরিক্ত পোর্টেবল ফায়ার ইস্টিংগুইসার স্থাপন করতে হবে। কাস্টমাইজসহ অন্য হাইটেক কক্ষগুলো সম্পূর্ণরূপে সিসিটিভির আওতায় আনতে হবে। বিদ্যমান ফোর্স ভেন্টিশন ব্যবস্থার কার্যকারিতা এবং ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
ইসি সচিবালয়ের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন ভবনের যেকোনো পূর্ত এবং ইএম (বিদ্যুৎ) কাজ গণপূর্ত অধিদফতরের সঙ্গে অধিকতর সমন্বয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে। ইভিএম কাস্টমাইজেশন কক্ষটির অভ্যন্তরীণ বৈদ্যুতিক কাজের ক্ষেত্রে উন্নত তার ব্যবহার করতে হবে। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মাল্টিপ্লাগ, তার, সুইচ, সকেট ব্যবহার করতে হবে। নতুন বৈদ্যুতিক সংযোগ ও প্রাত্যহিক ব্যবহার ক্যালকুলেশন করে ঠিক করতে হবে।
প্রতি ছয় মাস পরপর ইসি, গণপূর্ত অধিদফতর, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত কমিটি বৈদ্যুতিক লাইন ও ফায়ার সিস্টেম পরীক্ষা করে দেখবে। নির্বাচন ভবনে অত্যাধুনিক ইন্টিগ্রেটেড বিল্ডিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের ব্যবস্থা করতে হবে ও সার্বক্ষণিক মনিটরিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করাসহ আরও বেশ কয়েকটি সুপারিশ রয়েছে।