বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে হলের সংখ্যা এক শতক অতিক্রমের ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ‘পাপ পুণ্য’।
প্রথম বারের মতো কোনো বাংলাদেশি চলচ্চিত্র আমেরিকার মিশিগানের ১০টি হল সহ মোট ১১২টি হলে মুক্তি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ হলের ইতিহাস হবে এটি।
ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত গিয়াসউদ্দিন সেলিম পরিচালিত তারকাবহুল এই সিনেমার উত্তর আমেরিকার হলে মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আন্তর্জাতিক পরিবেশক স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো এর প্রেসিডেন্ট মো. অলিউল্লাহ সজীব।
তিনি জানান, সব কিছু ঠিকাঠাক থাকলে আগামী ২০ মে বাংলাদেশের সঙ্গে একই দিনে উত্তর আমেরিকার ১১২টি হলে মুক্তি পাবে ‘পাপ পুণ্য’ চলচ্চিত্রটি।
সজিব বলেন, বাংলাদেশের সিনেমার ইতিহাসে এটি যে একটি যুগান্তকারী ঘটনা সেটি না বললেও চলে। আজকে আন্তর্জাতিক বক্স অফিসে ভারতীয় সিনেমার এই যে দাপট, তার শুরুটা হয়েছিল কিন্তু অধিক সংখ্যক থিয়েটারে অধিক মানুষের কাছে তাদের সিনেমা নিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে।
সজীব আরও বলেন, ‘‘পাপ পুণ্য’ মুক্তি পাচ্ছে একযোগে কানাডার ৫টি প্রভিন্সের ৮টি শহর এবং আমেরিকার ২৫টি স্টেট এর ১০০ এর বেশি শহরে। এতে করে সিনেমাটি ২০ মে থেকে আমেরিকা ও কানাডার মোটামুটি ১ মিলিয়ন এর বেশি (বাংলাদেশের সিনেমার) দর্শকের দেখার সুযোগ হচ্ছে। এটিই বাংলাদেশের সিনেমার উত্তর আমেরিকা অঞ্চলের (অলমোস্ট) টোটাল মার্কেট সাইজ।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, নিউ জার্সি, পেনসিলভেনিয়া, মেরিল্যান্ড, ভার্জিনিয়া, মিশিগান, কানেক্টিকাট, ম্যাসাচুসেটস, টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, অ্যারিজোনা, নেভাডা, ইউটাহ, ওহাইও, ইলিনয়, ইন্ডিয়ানা, ক্যানসাস, কলোরাডো, ওকলাহোমা, টেনেসি, লুইজিয়ানা, অরিগন এবং ওয়াশিংটন অঞ্চলের ১০৪ টি মাল্টিপ্লেক্সে ‘পাপ পুণ্য’ মুক্তি পাচ্ছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে রয়েছে এএমসি, রিগ্যাল, সিনেমার্ক, হারকিন্স, শোকেইস চেইনের মতো বিশ্বখ্যাত হল।
১৮ মে থেকে থিয়েটারগুলোর ওয়েবসাইট পাওয়া যাবে শো-টাইম ও অগ্রিম টিকেট। ‘পাপ পুণ্য’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, আফসানা মিমি, ফজলুর রহমান বাবু, সিয়াম আহমেদ, নবাগত সুমিসহ একঝাঁক তারকা।