উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থছাড়ে লাগবে না ‘অনুমতি’


ডেস্ক রিপোর্ট :: উন্নয়ন প্রকল্পের চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ে প্রকল্প পরিচালকদের এখন অর্থ বিভাগ ও প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কোনো অনুমতি লাগবে না বলে জানিয়েছে অর্থ বিভাগ।

গত ৩১ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব সিরাজুন নুর চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক অফিস আদেশ মহা হিসাব নিয়ন্ত্রক বরাবর পাঠিয়েছে।

জানা গেছে, উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে গতি আনতে চলতি অর্থ বছরের ১ জুলাই থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের ক্ষমতা এবারই দেয়া হয়েছিল প্রকল্প পরিচালকদের (পিডি)। আর তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক বিভাগের অনুমোদনের শর্ত দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এতেও প্রকল্পের কাজে ধীরগতি কাটছে না এবং নানা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে পিডিদের। তাই প্রকল্পে গতি আনতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

অফিস আদেশে বলা হয়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের সংশোধিত কর্তৃত্ব অনুযায়ী মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদফতর, পরিদফতর বা অন্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন অনুমোদিত প্রকল্পের জিওবি অংশের বরাদ্দের (চতুর্থ কিস্তি) অর্থ ছাড়ের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগ এবং প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কোনো সম্মতির প্রয়োজন হবে না। উক্ত অর্থ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছাড় হয়েছে বলে গণ্য হবে। প্রকল্প পরিচালকরা এ অর্থ সরাসরি ব্যবহার করতে পারবেন। তবে সংশোধিত অননুমোদিত প্রকল্পসহ অন্য সব প্রকল্পের অর্থ ছাড়ের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের অর্থ অবমুক্তি ও ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৮ এর বিদ্যমান পদ্ধতি অপরিবর্তিত থাকবে।

নিয়ম অনুযায়ী উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ ছাড় করা হয় চার কিস্তিতে। যার জন্য অর্থ বিভাগ ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক বিভাগের অনুমোদন নেয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল, প্রকল্প ব্যয়ের ক্ষেত্রে অধিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

সাধারণত সরকার বাজেটে উন্নয়ন ব্যয়ের যে পরিকল্পনা করে, তা প্রকল্প ভিত্তিক হয়ে থাকে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে একজন করে প্রকল্প পরিচালক থাকেন। যদিও কোনো কোনো ক্ষেত্রে একই ব্যক্তি একাধিক প্রকল্পের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। প্রকল্পগুলোর কোন খাতে কত খরচ হবে তা অনুমোদনের সময়ই নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।

দরপত্র আহ্বান করে বেসরকারি খাতের মাধ্যমে প্রকল্পগুলোর প্রয়োজনীয় মালপত্র কেনা, অবকাঠামো নির্মাণসহ অন্য কাজ করা হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বরাদ্দ করা অর্থ ছাড়ের অনুমোদন দিয়ে থাকে। এর সঙ্গে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ও সম্পৃক্ত। অর্থ বছরকে চারটি ভাগ করে চার কিস্তিতে এ অর্থ ছাড় করা হয়।

এসব কেনাকাটা, বিল-ভাউচারে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে অর্থ বিভাগের অনুমোদনক্রমে অর্থ ছাড় করার নিয়ম রয়েছে। এ ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে ঠিকাদারদের বিল পরিশোধ করেন প্রকল্প পরিচালক। কিন্তু নতুন নিয়ম হওয়ায় এখন থেকে মন্ত্রণালয়ের কোনো রকম অনুমোদন ছাড়াই অর্থ ছাড় ও ব্যবহার করতে পারবেন প্রকল্প পরিচালকরা।