উপকৃত হচ্ছেন কাতার প্রবাসীরা

banglashangbad

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে বিভিন্ন পেশায় ৪ লাখের বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছে। তাদের ৭৫ শতাংশই নির্মাণশিল্পে জড়িত। দেশটিতে নতুন আইন (কাফালা) সংস্কারের কারণে প্রবাসীরা সরাসরি উপকৃত হবেন। ফলে বৈষম্যহীন মজুরি ও শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।

সম্প্রতি কাতারে নতুন শ্রমনীতি সংস্কারের কথা ঘোষণা দেয়া হয়। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকেই নতুন এ শ্রম আইন কার্যকর হবে। ফলে বাংলাদেশিসহ সব অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষার এক নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

আইনটি বাস্তবায়ন হলে অভিবাসী শ্রমিকরা নিজেদের পছন্দমতো চাকরি পরিবর্তনের স্বাধীনতা পাবেন। দেশে ফেরা বা বেড়াতে যেতে অনুমতির কড়াকড়ি কমবে। ন্যূনতম মজুরির বৈষম্যতাও বিপুল অংশে দূর হবে।

স্পন্সরশিপ ব্যবস্থাটি কাতারে শুরু হয়েছিল ১৯৫০ সালে। দেশটির অর্থনৈতিক বিকাশের ওই সময়ে প্রয়োজন অনুযায়ী দ্রুত শ্রমিক সরবরাহ এবং প্রয়োজন ফোরালে দ্রুত ফেরত পাঠানোর সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছিল এই ব্যবস্থায়। গালফ সহযোগিতা কাউন্সিল বা জিসিসি সদস্যভুক্ত দেশগুলোর পাশাপাশি জর্ডান ও লেবাননে এখনও এ ব্যবস্থাটি কার্যকর রয়েছে।

কাফালা ব্যবস্থায় অভিবাসী শ্রমিকদের চাকরি পরিবর্তনের জন্য নিয়োগকর্তার কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) বাধ্যতামূলক ছিল। সামরিক বাহিনী বাদে অন্য কর্মস্থলের শ্রমিকদের চাকরি পরিবর্তন ও বহির্গমনের জন্য অনাপত্তিপত্র বাধ্যতামূলক নয় মর্মে কাতারের মন্ত্রিসভায় একটি ডিক্রিও অনুমোদন করেছে।

এ ছাড়াও মন্ত্রিসভার বৈঠকে বৈষম্যহীন ন্যূনতম মজুরি কাঠামো প্রতিষ্ঠার জন্য নতুন নীতিমালাও অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে কাতারেই প্রথম এ ধরনের আইন কার্যকর হতে যাচ্ছে।