ঋণখেলাপি ও কালো টাকার মালিকরা প্রণোদনা পেলে কৃষক তার শস্য বিক্রিতে কেন তা পাবে না- সে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
তিনি বলেন, যে কৃষক তেভাগা আন্দোলনে আওয়াজ তুলেছিল- ‘জান দেব, তবু ধান দেব না’, সেই কৃষক আজ ক্ষেতের ধান পুড়িয়ে দিচ্ছে দাম না পেয়ে। এর দায় সরকারকে নিতে হবে। সরকার কৃষিতে ভর্তুকি দিচ্ছে।
তাকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু কৃষিপণ্য ক্রয়েও ভর্তুকি দিতে হবে। রাজধানীর গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে শনিবার কৃষক-খেতমজুর কনভেনশনে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ধান উৎপাদনে বেশি খরচের পেছনে খেতমজুরদের মজুরিকে অজুহাত হিসেবে তুলে ধরে কৃষক ও খেতমজুরকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়া হচ্ছে।
কামলার অভাবকে পুঁজি করে এবারের বোরো মৌসুমে সরকারি কর্তাব্যক্তিরা ও বিভিন্ন সংগঠন যেভাবে জিন্স-টি শার্ট, নতুন লুঙ্গি-গামছা পরে ফটোশেসনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছিল, তা রীতিমতো খেতমজুরদের উপহাস করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রয়োজন এখন ঐক্যবদ্ধ হওয়ার, সংগঠিত হওয়ার। সেই সংগঠিত শক্তিই পারবে কৃষক-খেতমজুর কনভেনশনের ঘোষণাকে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাস্তবায়িত করতে।
বাংলাদেশ খেতমজুর ইউনিয়নের সভাপতি কমরেড বিমল বিশ্বাসের সভাপতিত্বে কনভেনশনে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য ও জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি কমরেড নুরুল হাসান, কার্যকরী সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম গোলাপ ও সহসভাপতি মনোজ সাহা। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ খেতমজুর ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি।