এবার কর্মস্থলে হানা দিচ্ছে ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট


ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসীবিরোধী বিভিন্ন রকমের কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। অভিবাসী বিরোধী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে কাগজপত্র বিহীন অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) ব্যবসা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বা কর্মস্থলে হানা দিচ্ছে। যেসব  ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক কাগজপত্র বিহীন অবৈধ অভিবাসীদের চাকরি দিয়েছেন তাদেরকেও ইমিগ্রেশন এর নতুন আইন অনুযায়ী আইনের আওতায় আনছে আইস। ২৫ শে জুলাই সংবাদ মাধ্যমে ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়যে যুক্তরাষ্ট্রের সব কয়টি অঙ্গরাজ্য তাদের অবৈধ অভিবাসী ধরতে অভিযান অব্যাহত থাকবে। ওয়ার্ক পারমিট নাই এমন কাউকে  কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবস্থায় পাওয়া গেলে ওই ব্যক্তি এবং চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট।

ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের এই ঘোষণাই আমেরিকায় অবস্থানরত ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে যারা ক্ষুদ্র ব্যবসার সাথে জড়িত তারা বেশি দুশ্চিন্তায় আছেন।  এ ব্যাপারে ১৫ জুলাই থেকেপ্রায় সাড়ে তিন হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকেচিঠি দিয়েছে ইমিগ্রেশনডিপার্টমেন্ট। প্রতিটি রাজ্যে ধর-পাকড়প্রক্রিয়া চলবে বলে তারা জানান।

ম্যাথিউ এলভেনস , ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন , এ ধরনের তল্লাশির ফলে কোন কাগজপত্র বিহীন অবৈধ অভিবাসী পাওয়া গেলে  তার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনা হবে।এছাড়াওতিনি বলেনঅনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যারাপরিচালিত হয় নথি বিহীন অবৈধ অভিবাসীদের নিয়ে। এর মধ্যে অনেক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান আছে যারা  অবৈধ লেনদেন , বিদেশি মুদ্রা পাচার , কর ফাঁকিইত্যাদি সাথে জড়িত। এসব অভিযোগে অভিযুক্তব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অবৈধ অভিবাসীদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে  অনেক দোকান মালিক কম বেতনে কাজ দিচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে আবার কিছু বৈধ অভিবাসীদের কাজ  দিচ্ছে। কিন্তু অন্তরালেব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো যাদের ওয়ার্ক পারমিট নেই সেসব লোক গুলোকে বেশি  কাজ দিচ্ছে। এটা কর ফাঁকি দেওয়ার একটা উপায় হিসেবে মনে করছে ইমিগ্রেশন বিভাগ।

নথিপত্র বিহীন  অভিবাসীকে কাজদেওয়া আইনত দণ্ডনীয় হলেও এর আগে আইনটি সেভাবে কার্যকর হয়নি। ট্রাম্প প্রশাসন আসার পর থেকে আইনটি ধীরে ধীরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ম্যাথিউ বলেন যে তারা শক্ত পদক্ষেপ নিতে চান। “কাগজপত্র বিহীন অবৈধ অভিবাসীদের উপর ভর করে যারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন তাদের কে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা আমাদের উদ্দেশ্য।”


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *