ওসি আখতারের বিরুদ্ধে ভুমি খেকো ও সন্ত্রাসীদের অপপ্রচার


শেখ মোঃ হাসিদুল ইসলাম (পিন্টু):: বিগত ২০০৮ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বালাগঞ্জে থানার ওসি হিসেবে ছিলেন আখতার হোসেন ,তাতে করে দেখা যায়,বালাগঞ্জ থানায় দীর্ঘ দিন ধরে যে,জিনিস হয় নি সেই জিনিস করেছে আখতার হোসেন ।বালাগঞ্জ থানায় প্রথমে এসেই মদ গাজা থেকে শুরু করে,বিভিন্ন নেশা দ্রব্য ,চুরি ছিনতাই ,চাঁদাবাজি,ডাকাতি ও নারী নির্যাতন বন্ধ করেন ওসি আখতার । শুধু তাই নয় বালাগঞ্জ থানাকে একটি মডেল থানা হিসেবে পরিচিত করার জন্য ,তিনি থানার ভিতরে নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেন,সাধারন মানুষ বসার জন্য ছাউনি ও পুকুর ঘাটের সিড়ি করেন,এবং থানায় বিভিন্ন কাজে আশা সাধারন মানুষকে আইনি সযোগিতা করেছেন,যা বালাগঞ্জ বাসিকে মুগ্ধ করেছে।ওসি আখতারের হোসেনের জন্য চির কৃতজ্ঞ ।

তার পর,২০১৩ সালে আসেন সিলেটের এসএমপির কোতোয়ালি থানায় ,এসে আইন-শৃঙ্খলা সুন্দর রাখার জন্য সন্ত্রাসীদের হাতে গুলি বিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এম,এ,জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন,তাকে দেখতে আসেন অনেক মানুষ এবং সাধারন মানুষ রক্ত দিয়ে সুস্থ করে তুলেন আখতার হোসেনকে।

এর পর আসেন সিলেটের এসএমপির বিমানবন্দর থানার ,এসে টিলা-কাটা ও প্রবাসীদের বাড়ি দখল বন্ধ করেন ।সেই সাথে বিমানবন্দর থানা এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ,ও ভুমি-দখলকারীদের সংখ্যা কমতে থাকে । সেই সাথে শূন্য হয়ে পড়ে চুরি ডাকাতি ও নেশা।

২০১৬ আসেন সিলেটের এসএমপির জালালাবাদ থানায় এসে প্রথমেই ,আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখার জন্য রেড এলার্ট শুরু করে দেন।তাতে করে এলাকাবাসী খুশী হয়ে দেখতে যান, ওসি আখতার হোসেনকে ,সেই সাথে অনেক মানুষের ঘর বাড়ী সন্ত্রাসীদের দখল থেকে ফিরিয়ে দেন এই ওসি আখতার হোসেন।

 

এর কিছুদিন পর ,সিলেটের শাহপরান (র.) থানার অফিসার ইনচার্জ আখতার হোসেনে উপশহরের মাল্টিপ্লান সিটির সামনে রাস্তা থেকে অসুস্থ্য এক বৃদ্ধকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করেন।৭৫ বছর বয়সের এক বৃদ্ধ কে। গায়ে জামা নেই, অসুস্থ হয়ে রাস্তারর পাশেই পরে কাতরাচ্ছেন তিনি। বিষয়টি চোখে পড়ে শাহপরান থানার অফিসার ইনচার্জ আখতার হোসেনের। তিনি বাকরুদ্ধ বৃদ্ধকে ওসামানী মেডিকেল কলেজের হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যান। তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের ১নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।

২০১৮ সালে আসেন সিলেটের এসএমপির শাহপরান (রহ.) থানায় ,এসে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি ,লোট-পাট,সিলেটে ভূমি খেকো ও জায়গা দখলকারীদের জম হয়ে ওঠেন ,ওসি আখতার হোসেন।তাতে করে ভূমি খেকোরা কোটি টাকার ফায়দা লোটতে না পেরে লেগে যায় অপপ্রচারে ।

গত ২১ শে মে মঙ্গলবার দুপুরে শাহপরান গেইটে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের খাদিমপাড়া ইউনিয়ন কমিটি। এ চক্র নিজেদের অপরাধ ঢাকতে শাহপরান (রহ.) থানার ওসির বিরুদ্ধেও বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। ওই মামলার আসামিরা চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।মানববন্ধনে অতিথির বক্তব্যে জাতীয় পার্টি (জেপি) সিলেট জেলা শাখার সভাপতি ইফতেখার আহমদ লিমন বলেন, শান্তির জনপদ হিসেবে পরিচিত শাহপরান এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন অনেক ভাল। কিন্তু সন্ত্রাসী চক্র এ অবস্থা মানতে পারছে না। পুলিশ প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারণে আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন শাহপরান থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভাল। এ কারণে চিহ্নিত অপরাধীরা শাহপরান থানার ওসি আখতার হোসেনসহ পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে অপবাধ তুলছে। তারা দুর্ণীতিবাজ কর্মকর্তাদের পদায়নের মাধ্যমে শাহপরান এলাকাকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চাচ্ছে।

সভাপতির বক্তব্যে খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা অ্যাডভোকেট আফছর আহমদ বলেন, ভূমিখেকো, সন্ত্রাসী জালিয়াতচক্র নিজেরাই অপরাধের সাথে জড়িত। তারা সরকারি দলের ভূয়া পরিচয় দিয়ে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের বিভ্রান্ত করতে চায়।

শাহপরান গেইটের স্থায়ী বাসিন্দারা  বাংলা সংবাদকে বলেন, যে মানুষটি সিলেটের বিভিন্ন থানায় সম্মান অর্জন করে আসছেন আজ ওনার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার বন্ধ করতে হবে ।এজন্য বলি “হায়রে মানুষ শান্তি নাই,ভাল মানুষের ভাত নাই”