ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছাল


ফেনীর সোনাগাজীর সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৭ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (১০ জুলাই) বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম আদালতকে জানান, এ দিন আসামি ওসি মোয়াজ্জেমকে কারা কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে না পারায় কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়নি।

অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদও ওসি মোয়াজ্জেমের পক্ষে আদালতে অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। এরপর উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী এ দিন ধার্য করেন।

এদিন বাদী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন আদালতে হাজির ছিলেন।

এর আগে, ১৭ জুন বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন জামিন নামঞ্জুর করে মোয়াজ্জেমকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ১৬ জুন দুপুরে রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানার পুলিশ।

২৭ মে মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রীমা সুলতানা মামলার ১২৩ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন জমা দেন ট্রাইব্যুনালে। এরপর বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

১৫ এপ্রিল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন বাদী হয়ে মামাল দায়ের করেন। এরপর বিচারক মামলাটি পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, নুসরাত জাহান রাফি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিমের পরীক্ষার্থী ছিলেন। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এ সময় তাকে কৌশলে একটি ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। গুরুতর দগ্ধ নুসরাত পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হার মানেন। ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তিনি মারা যান।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *