কমলগঞ্জে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ,২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম


সাদিকুর রহমান সামু :: কমলগঞ্জে সিএনজি চাপা দিয়ে মেধাবী ছাত্র সুমনকে ‘হত্যার’ ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। নিহত সুমনের সহপাঠিসহ কমলগঞ্জের কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী,বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী সোমবার বেলা ১১টায় কমলগঞ্জ উপজেলা চৌমুহনায় অবস্থান করে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে অভিভাবক,ব্যবসায়ীরা অংশ নেয়ায় বিক্ষোভ মিছিল চৌমুহনা চত্বরের চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভ মিছিল থেকে ঘাতক সিএনজি চালককে আটকের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে ঘাতক সিএনজি চালককে আটক করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে ঘাতক চালককে আটক করতে পুলিশ প্রশাসন ব্যর্থ হলে লাগাতার সড়ক অবরোধসহ কঠোর আন্দোলন কর্মসুচির হুমকি দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধনের এ আন্দোলনে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষজন অংশ নিয়ে বিক্ষোভের কারণে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ-মৌলভীবাজারের সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে ওই সড়কের উভয় পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম দুর্ভোগে ছিলেন যাত্রীসাধারণ। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সুধীন চন্দ্র দাস আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘাতক চালককে আটকপূর্বক দৃষ্টান্তমুলক বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শিক্ষার্থীদের রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। পরে আন্দোলনকারীরা রাস্তা থেকে সরে গেলে দেড় ঘন্টা পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এরআগে রোববার দুপুরে কমলগঞ্জ উপজেলা সদরে দ্রুতগামী একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চাপায় মমার্ন্তিক মৃত্যু হয় কমলগঞ্জ পৌর এলাকার দক্ষিণ কুমড়াকাপন গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে মৌলভীবাজার সরকারি ডিগ্রি কলেজের স্নাতক শেষ বর্ষের ছাত্র সুমন মিয়া (২৫)। এ ঘটনায় রোববার দিবাগত রাতে নিহত সুমনের বাবা বাবুল মিয়া বাদি হয়ে কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন বলে কমলগঞ্জ থানার ওসি আরিফুর রহমান জানান।