করোনাভাইরাসের মধ্যেও প্রেমের টানে বাঙালি যুবকের কাছে চীনা তরুণী


মহামারি করোনাভাইরাসে গোটা বিশ্ব যখন আতঙ্কিত, তখন দীর্ঘদিনের এক প্রেমের গল্পের পরিণয় ঘটছে। সাত বছর আগে চীন ভ্রমণের সময় এক চীনা তরুণীর প্রেমে পড়েন পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার এক তরুণ। অবশেষে তারা দুজনে বিয়ে করেছেন। বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছে বরের মেদিনীপুরের বাড়িতে।

ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভি ও কলকাতার বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরে ভিনদেশী দুই তরুণ-তরুণীর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। বাঙালি প্রেমিক পিন্টু জানাকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করেন চীনা তরুণী এঞ্জেল পিং। পরদিন বউভাতের আয়োজন করা হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীনে তৈরি পোশাকের ব্যবসা করেন বর পিন্টুর মামা। সেখানেই কাজ করতে গিয়েছিলেন পিন্টু। দেশটির গোয়াং প্রদেশের বাসিন্দা এঞ্জেল পিংও পোশাক ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়ে। সেই সূত্রে দুজনের দেখা। তারপর প্রেম। অবশেষে সব প্রতিকূলতা ঠেলে ঘর বাঁধার সিদ্ধান্ত নেন তারা। সম্মতি মেলে দুই পরিবারেরও।

বিয়েতে এঞ্জেল পিং সেজেছিলেন লাল শাড়ি, চেলি আর গয়নায়। আর চীন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বিয়েতে অংশ নেন এঞ্জেলের পরিবারের সদস্যরা। বিয়েতে তাদের হাজির থাকার ছিল। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দেশ ছাড়তে পারেননি তারা। এরমধ্যে ভারত ও চীনের মধ্যে বিমান চলাচলও স্থগিত হয়ে গেছে।

কনে এঞ্জেল বলেন, ‘আমার পরিবার খুশি এবং সুস্থ আছে। তবে করোনাভাইরাসের ভয়ের কারণে তারা আমার বিয়েতে অংশ নিতে আসতে পারেননি।’ বিয়ের পর চীনে ফিরে যাবেন, এমন প্রশ্নে এঞ্জেল বলেন, ‘আমরা ফিরে তো যাবই কিন্তু কখন যেতে পারবো জানি না। সবকিছু মিটে গেলে আমরা ওখানে গিয়ে রেজিস্ট্রিসহ বাকি কাজগুলো করবো।’

চীনেও একটি অনুষ্ঠান হবে বিয়ের পরে। বর পিন্টু বলেন, ‘এঞ্জেলকে বিয়ে করতে পেরে আমি খুশি। তবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এঞ্জেলের পরিবার বিয়েতে আসতে পারেনি। তাই চীনে গিয়ে আমাদের আরও একটি অনুষ্ঠান করতে হবে। সময় সুযোগ বুঝে আমরা হয়তো চীনে যাবো।’