প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। এরইমধ্যে জাপানে এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথমবারের মতো একজন মারা গেছেন।
এদিকে চীনের বাইরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে নোঙর করা ডায়মন্ড প্রিন্সেস নামক প্রমোদতরীতে।
বিলাসবহুল ওই নৌযান তিন হাজার ৭০০ যাত্রী নিয়ে এখন কোয়ারেন্টাইনে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেখানে থাকা ১৭৫ জনকে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
চীনের হুবেই প্রদেশে মৃত্যুর মিছিলে একদিনে যোগ হয়েছে আরও ১২১ জনের নাম। এ নিয়ে ভয়াবহ এই ভাইরাসে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৪৮৪ জনে।
জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাৎসুনোবু কাতু জানিয়েছেন, গত ২২ জানুয়ারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই নারী। চিকিত্সাও চলছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়। আর এরপরই তার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, রাজধানী টোকিওতে এক ট্যাক্সিচালকও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মেডিক্যাল পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাস মিলেছে।
জাপানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ওয়াকাইয়ামায় এক চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া সবমিলে এখানের প্রায় পৌনে ৩০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে সূর্যোদয়ের দেশটিতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে।
গত বছরের শেষদিকে চীনের মধ্যাঞ্চল হুবেই প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস গোটা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। শুধু তা-ই নয়, রোগও ছড়াচ্ছে। এ পর্যন্ত ২৫টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস।
এসব দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত সংখ্যা। তবে জাপান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, হংকংয়ে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি।