সম্প্রতি ভারতের কলকাতায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ৩২ বছর বয়সী এক থাই তরুণী হাসপাতালে ভর্তি হয়। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ওই তরুণী মারা যায়। যদিও তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা নিশ্চিত নন ডাক্তাররা। তাদের দাবি, করোনাভাইরাসের সব উপসর্গ ওই তরুণীর ছিল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, গত ১৮ জানুয়ারি থেকে ওই তরুণীর শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২১ জানুয়ারি স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে তিনি কলকাতার ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। সন্দেহজনক অবস্থা বিবেচনায় তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তরিত করে কর্তৃপক্ষ। পরে ওই তরুণী মঙ্গলবার মারা যায়।
বিশ্বব্যাপী আতংক সৃষ্টি করা করোনাভাইরাসে চীনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৬ জনে। এসব মৃত্যুর ব্যাপারে এর মধ্যেই নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এছাড়া মোট আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজারে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে চীন।
যদিও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক লাখ। চীনে করোনাভাইরাসে আগের থেকে আরও বেশি মানুষ সংক্রমিত হচ্ছে এবং এই ভাইরাসের বিস্তার আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে দেশটির হেলথ কমিশন।
সম্প্রতি চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে ভয়ংকর এই ভাইরাস। ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ১৪টিরও বেশি শহর অবরুদ্ধ করে দিয়েছে চীন। সেখানে সকল ধরনের যান চলাচল ও বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এসব শহরে কেউ প্রবেশ করতে এবং বের হতে পারছেন না।
নতুন করে আরও বেশ কয়েকটি শহরে গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন শহরের বাসিন্দাদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়ানো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সন্ধান মিলেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ অন্তত ১২টি দেশে। নতুন রোগীর সন্ধান মিলেছে সিঙ্গাপুর ও জার্মানিতে। প্রতিবেশী ভারতেও চারটি রাজ্যেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত অন্তত দুই শতাধিক ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।