কাজের বুয়ার ভিজিটিং কার্ড ভাইরাল !!


হতে পারে আমি ছোটখাটো কাজ করি। সেটা হোক থালাবাসন মাজা, রান্নাবান্না বা ঘর মোছা। তাই বলে কি আমার ভিজিটিং কার্ড থাকতে নেয়। ভিজিটিং কার্ড কি শুধু সাহেবরাই রাখবেন বা ব্যবসা-বাণিজ্য চাকরি করলেই থাকবে? হয়তো ঠিক এমনই ভেবেছিলেন তিনি। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের এক কাজের বুয়া ভিজিটিং কার্ড বানিয়ে আলোচনায় এসেছেন। তার সেই কার্ড এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এ ওয়াল থেকে ও ওয়ারে ঘুরপাক খাচ্ছে।

ভারতের মহারাষ্ট্রের পুণের বাভধন এলাকায় লোকের বাড়িতে কাজ করেন গীতা কালে। সম্প্রতি তার ভিজিটিং কার্ড ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে।

ভাইরাল হওয়া সেই কার্ডে লেখা রয়েছে গীতার নাম ও ফোন নম্বর। তার নিচে লেখা রয়েছে কাজের বিবরণ ও প্রতি মাসে সেই কাজের রেট। যেমন, ঝাড়ু-মোছা, কাপড়ে ধৌত করার মতো কাজের জন্য প্রতি মাসে ৮০০ টাকা নিয়ে থাকেন গীতা। সেখানে রুটি তৈরির জন্য নেন মাসে এক হাজার টাকা। টাকার বিনিময়ে অন্যান্য গৃহস্থালির কাজও করতে প্রস্তুত গীতা।

তবে গীতার ইন্টারনেট সেনসেশন হওয়ার পেছনে অবদান রয়েছে ধনশ্রী শিন্ড নামে এক নারীর। ধনশ্রীর বাড়িতে কাজ করেন গীতা। একদিন অফিস থেকে ফিরে ধনশ্রী দেখলেন মনমরা হয়ে বসে আছেন গীতা কালে। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার একটি বাড়ির কাজ চলে গেছে। যার জেরে তার মাসে চার হাজার টাকা রোজগার কমে গেছে।

গীতার কথা ভিজিটিং কার্ডের নকশা বানিয়ে দেন ধনশ্রী। ১০০টি কার্ডও ছাপিয়ে আনেন। তার আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীর সহায়তায় আশপাশ এলাকায় ছড়িয়ে দেন সেই কার্ড।

ছবিসহ সেই কাহিনী সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পোস্টে শেয়ার করেছেন অস্মিতা জাভড়েকর নামের এক নারী। তার পরই ভাইরাল হয়েছে সেই পোস্ট।

ভাইরাল হতেই ফোনের বন্যায় ভেসে যাচ্ছেন গীতা কালে। পুণে ছাড়িয়ে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাজের জন্য ফোন আসছে গীতার কাছে। গীতাকে এভাবে সাহায্যের জন্য ধনশ্রীকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছেন নেটিজেনরা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *