কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের মুসলিম রাষ্ট্র বিশেষ করে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়েছে। কাতার প্রবাসী বাংলাদেশিদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ সব অধিকার নিশ্চিতে কাতারের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে তার সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূত আহমেদ বিন মোহাম্মদ আল দেহাইমি সাক্ষাৎ করতে এলে এ অনুরোধ জানান তিনি।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আল দেহাইমি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ-কাতারের সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। কাতার-বাংলাদেশ হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, কাতার চ্যারিটির মাধ্যমে সুদীর্ঘ সময় থেকে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের কল্যাণে বৃহত্তর ভিসা সেন্টার স্থাপনসহ অনেক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে এবং আগামীতেও সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রভূত উন্নতি সাধন করেছে। দরিদ্র ও শিশু মাতৃমৃত্যু হার কমেছে, মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। কৃষিক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্যের কারণে খাদ্য ঘাটতির দেশটি এখন খাদ্য রফতানির মর্যাদা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে কৃষিকে শতভাগ যান্ত্রিকীকরণ ও বহুমুখীকরণ করা হবে। কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে রফতানি করা নিয়ে কাজ চলছে। বাংলাদেশ থেকে রফতানিযোগ্য সবজি, ফলসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কাতারের রাষ্ট্রদূত। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে আম আমদানি করতেও আগ্রহী কাতার।
মন্ত্রী আরও বলেন, ২০২১ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় কাতার এক্সপোতে কৃষি মন্ত্রণালয়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। টাঙ্গাইলের আনারস চাষ দেখানোর জন্য রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণ জানান মন্ত্রী। রাষ্ট্রদূত এ ব্যাপারে তার আগ্রহের কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ দ্রুত সময়ের মধ্যে উন্নয়ন করছে, ফলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নতুন এক বাংলাদেশ দেখতে পাবে।’
তিনি আরও বলেন, চলতি মেয়াদে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর কাতার ধরেই নিয়েছিল, এবারের সরকারের মূল লক্ষ্যই হবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন। বাংলাদেশের সব উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চায় কাতার।