বিয়ের কাবিননামার ৫নং কলামে মেয়ে কুমারি, বিধবা কিংবা তালাকপ্রাপ্ত কি না তা জানতে চাওয়ার বিষয়টি রাখা না রাখার জন্য জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিবের মতামত চেয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিবাহের কাবিননামা-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুলের শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আইনুন নাহারা সিদ্দিকা।
শুনানিকালে কাবিননামার ৫নং বিধির কোনো প্রয়োজন নেই এবং এমন বিধি ব্যক্তির গোপনীয়তার বিরোধী বলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বেলায়েত হোসেন আদালতে নিজের ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। এরপর আদালত কাবিননামায় ৫নং কলামটি রাখার আদৌ প্রয়োজন রয়েছে কি না এবং কলামটি তুলে দেয়া শরিয়াহ আইনের পরিপন্থী হবে কি না- সে বিষয়ে মতামত জানাতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিবের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ওই আদেশ দেন। এ বিষয়ে খতিবকে সোমবার (২২ জুলাই) হাজির হয়ে মতামত দিতে বলেছেন আদালত।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৪ সালে কাবিননামার ৫নং কলামের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)। রিটে কাবিননামায় বর-কনের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সংযুক্ত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। পরে ওই রিটের শুনানি নিয়ে কাবিননামার ৫নং বিধিটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর দীর্ঘদিন পর হাইকোর্টে মামলাটির রুল শুনানি শুরু হলো।