আফগানিস্তানের কাবুলে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে দুই দফা ‘আত্মঘাতী’ বোমা হামলায় ৯০ জন নিহত হয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আফগান জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
নিহতদের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর অন্তত ১৩ সদস্য এবং তালেবানের অন্তত ২৮ সদস্য রয়েছেন। জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে জোড়া বিস্ফোরণে দেড় শতাধিক আহতও হয়েছে।
“যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় আমরা বেশি লোক হারিয়েছি,” বলেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তালেবান কর্মকর্তা।
তালেবানের কাবুল দখলের পর কূটনীতিক, বিদেশি নাগরিক ও অসংখ্য আফগান নাগরিকের দেশ ছাড়ার তোড়জোড়ের মধ্যে এ প্রাণঘাতী হামলা ঘটল।
তবে এ ‘আত্মঘাতী’ বোমা হামলার পরও যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তান থেকে সরে যেতে এবং কূটনীতিক, বিদেশি নাগরিক ও তাদের সহযোগীদের সরিয়ে নেওয়ার সময়সীমা ৩১ অগাস্ট থেকে বাড়ানোর দরকার নেই বলে মত এ তালেবান কর্মকর্তার।
এদিকে, এ হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হামলার পেছনে দায়ীদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার হামলার পর জো বাইডেন বলেছেন, “আমরা ক্ষমা করবো না। আমরা এই হামলার কথা ভুলেও যাবো না। আমরা হামলাকারীদের অবশ্যই খুঁজে বের করবো এবং জড়িতদেরকে এর মূল্য দিতে হবে।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “কাবুল দখলের পর তালেবান কারাগারগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়ায় হয়তো সেখান থেকেই হামলাকারীরা বেরিয়ে এসেছে। তিনি এই হামলার জন্য আইএস-কে সন্ত্রাসী গ্রুপকে অভিযুক্ত করেন।”
বাইডেন জোর দিয়ে বলেন, “সন্ত্রাসীদের ভয়ে যুক্তরাষ্ট্র কখনোই চুপ করে বসে থাকবে না। আমরা এই মিশন বন্ধ করবো না। আমরা (কাবুল থেকে) আমাদের এই প্রত্যাহার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবো।”
১৫ আগস্ট তালেবানদের দখলে নেওয়ার পর কাবুল থেকে এক লাখের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ৩১ আগস্ট মার্কিন বাহিনী চলে যাওয়ার আগে বহু মানুষ দেশটি ছাড়তে চাচ্ছেন।