ডেস্ক রিপোর্ট :: নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ ট্যাজিডিতে নিহত সিলেটের গোলাপগঞ্জের হোসনে আরা বেগমের লাশ দেশে আসছেনা। হোসনে আরার পরিবারের লোকজন এসব তথ্য জানিয়েছেন।জানা যায়, দশবছর আগে দেশে এসেছিলেন তিনি। কে জানতো এটাই ছিল তার আত্নীয় স্বজনদের সাথে শেষ দেখা। আরো মাস’দুয়েক পর আবারো তার দেশে ফেরার কথা ছিল তার। কিন্তু তা আর হলোনা।
গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে অসুস্থ স্বামীকে বাচাঁতে গিয়ে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হন তিনি। এসময় নিহত হন ৫০ জন। আহত হন অন্তত ৪৮ জন। এদের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশী রয়েছেন। নিখোঁজ হন আরও ৫ জন।সরজমিনে গতকাল শনিবার দুপুরে গোলাপগঞ্জে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় শোকাহত মানুষগুলোর চোখের জল শুকিয়ে গেছে। নিহতের বড় ভাই নাজিম উদ্দিন ফ্যাল ফ্যাল করে এদিক ওদিক তাকাচ্ছেন। কারো সাথে কথাই বলছেন না। বোন হারানোর শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তিনি। তার স্ত্রী ও হোসনে আরার ভাবির সাথে কথা বলে জানা গেছে, লাশটি দেশে পাঠানো নাও হতে পারে।কারণ তার স্বামী প্যারালাইজড। তারপক্ষে দেশে আসা খুবই কঠিন। তাছাড়া তার ১৪ বছরের একমাত্র মেয়ে শিপা আহমদ জন্মসূত্রে নিউজিল্যান্ডের নাগরিক। বাংলাদেশে তার স্থায়ী হওয়র কোন সম্ভাবনা নেই। এসব দিক বিবেচনায় তাকে সেখানেই দাফন করার সম্ভাবনা বেশী বলে জানালেন স্বজনরা ।