খেলতে খেলতেই না ফেরার দেশে তরুণ ক্রিকেটার


ক্রীড়া ডেস্ক :: খেলতে খেলতেই সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন কলকাতার এক উঠতি ক্রিকেটার। কলকাতার ময়দানে বুধবার বালিগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে খেলতে নামা ক্রিকেটার সোনু যাদবের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। কলকাতার বিখ্যাত ময়দানের বাটা মাঠে প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলার সময়ই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন এই ক্রিকেটার।

ওই ম্যাচে কয়েক ওভার ব্যাটিংও করেছিলেন তিনি। ব্যাটিং করার পর আউট হয়ে মাঠের বাইরে চলেও আসেন সোনু যাদব। ড্রেসিং রুমে এসে হেলমেট খুলতে গিয়েই বাধে বিপত্তি। এ সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। কিছুক্ষণ পর নিজেই উঠে দাঁড়ান; কিন্তু ফের পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারান ২২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

দ্রুত তাকে মাঠ থেকে সিএবি’র (ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল) মেডিকেল সেন্টারে আনা হয়; কিন্তু সেখানে অবস্থার উন্নতি না হলে তাকে দ্রুত এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ডাক্তাররা সোনু যাদবকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সতীর্থরা জানিয়েছেন, মাঠে গাড়ি না থাকায় বাইকে করে তাকে সিএবিতে নিতে হয়েছিল।

সোনুর সতীর্থদের অভিযোগ, শুরুতেই হাসপাতালে নিয়ে গেলে হয়তো বাঁচানো সম্ভব হত। যদিও এখন পর্যন্ত ক্লাব কর্তৃপক্ষের কোনাে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। একবালপুরের এই ক্রিকেটারের মৃত্যু নিয়ে পুলিশও তদন্ত শুরু করেছে। মৃত্যুর কারণ এখনও জানা না েগেলেও সান-স্ট্রোক হয়ে ক্রিকেটারের মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

চলতি বছর জানুয়ারিতে প্র্যাকটিস করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল কলকাতার আরেক ক্রিকেটার পাইকপাড়া স্পোর্টিং ক্লাবের হয়ে সিএবি লিগে খেলা অনিকেত শর্মা। প্র্যাকটিসের সময় ফিল্ডিং করতে গিয়ে পড়ে অজ্ঞান হন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তার সতীর্থ ও ক্লাব কর্মকর্তারা মিলে অনিকেতকে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেছিলেন।

তখন ২১ বছর বয়সী এই তরুণ ক্রিকেটারের আকস্মিক মৃত্যুতে হতবাক হয়েছিলেন ক্লাব কর্তারাও। পাইকপাড়া স্পোর্টিংয়ে অন্যতম কর্মকর্তা সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতার মিডিয়াকে জানিয়েছিলেন, ‘আমরা মর্মাহত। মাত্র ২১ বছরের ক্রিকেটার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেল, এটা ভাবতে পারছি না। ছেলেটা দারুণ ফিল্ডিং করত। নক-আউটে ক্লাবের হয়ে বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলেছে; কিন্তু প্র্যাকটিসের সময় হঠাৎই অজ্ঞান হয়ে গেলে অন্য খেলোয়াড়রা ওকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলেও অনিকেতকে বাঁচানো যায়নি।’