গণপিটুনি ঠেকাতে সিলেটে পুলিশের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি


পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজে মানুষের কাটা মাথা লাগবে ও রক্ত লাগবে বলে সারাদেশে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। এই গুজবকে কেন্দ্র করে সারাদেশের মতো সিলেটেও ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে মানুষকে গণপিটুনি দিয়ে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। এমন উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমেছে সিলেটের পুলিশ। গ্রহণ করেছে বিভিন্ন প্রচারণামূলক পদক্ষেপ। এধরনের গুজবে কাউকে বিভ্রান্ত না হতেও পুলিশের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

রোববার (২১ জুলাই) রাতে সিলেট জেলা পুলিশের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ও গণমাধ্যমে প্রেরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলে হয়,

“সাম্প্রতিক সময়ে ‘পদ্মা সেতুতে শিশুর কাটা মাথা ও রক্ত লাগবে’ এমন ইস্যুকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে গণপিটুনিতে হত্যার মাধ্যমে একটি কুচক্রী মহল দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পায়তারা করছে। গণপিটুনি দিয়ে হত্যা এবং গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা একটি ফৌজদারি অপরাধ। সিলেট জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় যাতে এ ধরণের পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেলক্ষ্যে সিলেট জেলা পুলিশের পক্ষ হতে বিভিন্ন প্রচারণামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।”

জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে জানিয়ে বলা হয়েছে, “স্কুল/কলেজ ছুটির পর ছাত্র/ছাত্রীদের তাদের অভিভাবকের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান ত্যাগের বিষয়টি শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারী কর্তৃক নিশ্চিত করণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা জোরদার করণের লক্ষ্যে ক্যাম্পাস ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সিসি টিভি স্থাপন/অচল সিসি টিভি মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হল।”

এছাড়াও জনগণ যাতে ছেলেধরা গুজবে কান না দেয় সে জন্য সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালাতে সিলেট জেলার সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

এদিকে গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, “মসজিদের ইমাম, এলাকার জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন, সুধী সমাজ, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের প্রতিনিধি এবং উঠান বৈঠকে গুজবে সাড়া দিয়ে যাতে জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে না নেয় সে বিষয়েও প্রচারণা চালানোর জন্য সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে। তথাপি আপনার এলাকায় কোন অপরিচিত ব্যক্তির চলাফেরায় সন্দেহের সৃষ্টি হলে তাকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য স্থানীয় থানা পুলিশের সহায়তা অথবা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ কল করে জানানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হল।”


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *