মাদক মামলার আসামিকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুর রহমান ও সহকারী উপ-পরিদর্শককে (এএসআই) রবিউল আওয়ালকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া একই অভিযোগে পুলিশ কন্সটেবল মুক্তার হোসেনকে ক্লোজড করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে এ আদেশ দেয়া হয়।
পাঁচবিবি থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পার্শ্ববর্তী দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর থানার হাঁড়িপুকুর এলাকা থেকে আমজাদ হোসেনকে ১ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করে পাঁচবিবি থানার অভিযুক্ত ওই ৩ পুলিশ। পরে পাঁচবিবির সোনাপুর এলাকায় নিয়ে এসে এসআই আমিনুরের সোর্স হিসেবে পরিচিত দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার হাঁসের পাড়া গ্রামের মারফিদুল ইসলাম ও শাকিল হোসেনের মধ্যস্থতায় ২ লাখ টাকায় আমজাদকে ছেড়ে দেয়া হয়। আরও পঞ্চাশ হাজার টাকার জন্য এসআই আমিনুরের সোর্সরা আমজাদকে চাপ দিতে থাকে। বাধ্য হয়ে আমজাদের পরিবার বিষয়টি জয়পুরহাট জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার সালাম কবীরের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজ্জাদ হোসেনের তত্ত্বাবধানে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে অভিযুক্ত ৩ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ জানান, জয়পুরহাট জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন একটি টিম হাকিমপুরে তদন্ত করেছেন। বিষয়টি যেহেতু অন্য জেলার সেহেতু তারাই ভালো বলতে পারবেন। মারফিদুল ও শাকিল হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।
জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার সালাম কবীর জানান, অভিযুক্ত এসআই আমিনুর রহমান, এএসআই রবিউল আওয়ালকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বেতার সংশ্লিষ্ট পুলিশ কন্সটেবল মুক্তার হোসেনকে ক্লোজড করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।