ডেস্ক রিপোর্ট :: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুসংস্কার ও ধর্মান্ধতামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণে চলচ্চিত্র শিল্প বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাতারা মুক্তিযুদ্ধের সুমহান চেতনাকে ধারণ করে মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
‘জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে মঙ্গলবার এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, সরকার চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়ন ও উৎকর্ষ সাধনে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। গত ১০ বছরে চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আগামীকাল জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস।
তিনি বলেন, চলচ্চিত্রকে আমরা শিল্প হিসেবে ঘোষণা করেছি। আমরা চলচ্চিত্র শিল্পে মেধাবী ও সুদক্ষ কর্মী সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বিশ্বমানের চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্দেশ্যে বিএফডিসি’কে ডিজিটাল যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ করা হয়েছে।
গাজীপুর জেলার কবিরপুরে ১০৫ একর জমিতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফিল্ম সিটি’র ১ম পর্যায়ের কাজ এরই মধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনিক ও ডিজিটাল সিনেমা হল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। অস্বচ্ছল শিল্পী কলাকুশলীদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি তাদের চিকিৎসার ব্যয়ভার আমরা বহন করছি।
বিএফডিসিকে স্বাবলম্বী করার জন্য ‘বিএফডিসি কমপ্লেক্স নির্মাণ’ বিষয়ক একটি প্রকল্প এরই মধ্যে অনুমোদিত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের চলচ্চিত্রকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ১৯৫৭ সালের এই দিনে তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী হিসেবে চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন বিল উত্থাপন করেন এবং প্রতিষ্ঠিত হয় এফডিসি তথা আজকের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)।
‘জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট শিল্পী, কলাকুশলী, নির্মাতা, পরিচালক, প্রযোজক-পরিবেশক এবং চলচ্চিত্রের দর্শকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বাসস