জিয়াউল ফারুক অপূর্ব আর মেহজাবীন চৌধুরী। পর্দায় দুজনের রসায়ন এককথায় অনবদ্য। সাম্প্রতিক সময়ের দামি আর জনপ্রিয় জুটিও বটে। এত দিন তাঁদের দুজনকে সাধারণত প্রেমিক-প্রেমিকারূপে দেখা গেলেও এবার সেই ধারায় খানিক পরিবর্তন আন আনা হয়েছে। দুজন হাজির হচ্ছেন ভিন্ন চরিত্রে। সেখানে প্রেম থাকলেও প্রেক্ষাপট বেশ আলাদা।
সিএমভি প্রযোজিত বিশেষ এই ঈদ নাটকের নাম ‘মিস্টার অ্যান্ড মিস চাপাবাজ’। রাজীব আহমেদের চিত্রনাট্যে এটি নির্মাণ করেছেন রুবেল হাসান।
সম্প্রতি শুটিং শেষ হওয়া এই নাটকে প্রথমবারের মতো দেখা যাবে অপূর্ব ও মেহজাবীনকে ‘চাপাবাজ’ চরিত্রে। দুজনের কাজই হলো, সারাক্ষণ বানিয়ে বানিয়ে নিজেদের সম্পর্কে বাড়িয়ে বলা। বিশেষ করে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেও দুজনের অভিব্যক্তি থাকে উচ্চবিত্তের সন্তান হিসেবে!
অপূর্বর ভাষ্য এমন, ‘এমন কাজ বা চরিত্রে সচরাচর অভিনয় করি না। বা করতে চাই না। কিন্তু এবার করলাম। কারণ আমাদের চারপাশ গুমট হয়ে আছে। আমরা হাসতে ভুলে যাচ্ছি। এই মহামারি কবে শেষ হবে তা-ও আমরা জানি না। আমরা নিজেরাও প্রচণ্ড আতঙ্ক নিয়ে শুটিং করছি। সব মিলিয়ে আমি মনে করি, এটা অসম্ভব মজার একটি নাটক হলো।’
সদ্য শুটিং শেষ হওয়া এই নাটকটি সিএমভি’র প্রযোজনায় তৈরি হলেও ঈদের বিশেষ নাটক হিসেবে প্রচার হবে দীপ্ত টিভিতে। একইসঙ্গে উন্মুক্ত হবে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেলেও। নিশ্চিত করলেন প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু।
‘মিস্টার এন্ড মিস চাপাবাজ’ প্রসঙ্গে এর নির্মাতা রুবেল হাসান বলেন, ‘আমি সিরিয়াস গল্প নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করি। তবে এবার আর সিরিয়াস আলাপে যাইনি। আমার মনে হয়েছে, এখন একটু হালকা বা নির্ভার হওয়া দরকার। প্রচুর হাসা দরকার। সেই ভাবনা থেকেই এই গল্পটি বেছে নেওয়া। যেখানে হাসির ভেতর দিয়ে দেখা যাবে আমাদের সমাজের বা মানসিকতার বাস্তব চিত্রটাও।’
রুবেল হাসান জানান, এখানে অপূর্ব ও মেহজাবীন দুজনই নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে-মেয়ে। কিন্তু দুজনই এমনভাবে চলে এবং নিজেকে উপস্থাপন করেন- যাতে যে কেউ ধরে নেন তারা উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান। মজার বিষয় ঘটলো, দুজনে যেদিন প্রথম মুখোমুখি হলেন। একে অপরের চাপাবাজিতে এতোই মুগ্ধ হলেন- দুজনেই প্রেমে পড়ে গেলেন!
এরপর ক্রমশ তারা দুজন হাঁটতে থাকেন মিথ্যার বোঝা নিয়ে নির্মম বাস্তবতার দিকে।
নাট্যকার রাজীব আহমেদ বলেন, ‘টাকার কাছে গোটা পৃথিবী দাস। যার টাকা আছে তার কাছে সবকিছু অনেক সহজ হয়ে ধরা দেয়। এই ধারণা থেকেই নিম্নমধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেক ছেলে-মেয়ে ক্রমাগত মিথ্যার আশ্রয় নেয়। কিন্তু যখন তারা ফিল করে যে, একে অপরকে সত্যিই ভালোবাসে- তখন মিথ্যাগুলো তাদের কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। এখানে সেই গল্পটাই বলার চেষ্টা করেছি।’