চীন-আমেরিকার সঙ্গে কি পরকীয়ার সম্পর্ক

banglashangbad

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত প্রকৃতিগতভাবে এবং ভৌগলিক কারণে মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের সহযোগিতা করেছিল। এটা ঐতিহাসিক সত্য, কিন্তু এর বিনিময়ে এত বেশি নিংড়ে নেয়া হচ্ছে, বাস্তবিক অর্থে সেটা মনে পড়লে ওই সময়কার ইতিহাস অনেকটা ম্লান হয়ে যায়।

তিনি বলেন, ‘আমাদের এক মন্ত্রী কিছুদিন আগে বললেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর মতো। ভারতের সঙ্গে যদি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক হয়, তাহলে চীন, আমেরিকা ও ফ্রন্সের সঙ্গে কি পরকীয়া সম্পর্ক?’

বুধবার (২৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। দেশবিরোধী চুক্তি বাতিল, আবরার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, ভোলার ঘটনার দ্রুতবিচার এবং খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলাল বলেন, আওয়ামী লীগের এমপিরা সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, মানুষের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় যাওয়া সেটা আমাদের দ্বারা হবে না। কিন্তু তারা চুরি তো করে নাই, আগের রাতে ডাকাতি করে নিয়ে গেছে ‘

তিনি বলেন, ‘আগে শুনতাম পকেটমার, পকেটমার বলে চিৎকার দিত, আর পেছনে পেছনে কয়েকটা লোক দৌড় দিত। পরে জানা যায়, যারা দৌড়ে গেছে সকলেই পকেটমার। পকেটমারকে বাঁচানোর জন্য তারা এই কাজ করে। এ রকম কিছু প্রতারক বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে।’

যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘আজকে টেলিভিশনে দেখলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছারকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। কত অধঃপতন হয়েছে আমাদের! আমাদের মানসিকতা কোথায় চলে গেছে! এত অধঃপতন জাতি হিসেবে মুক্তিযোদ্ধারা কি দেখতে চেয়েছিলেন যে, আমার মানচিত্রকে খামচে খামচে খাবে?’

আলাল বলেন, ‘আজকে রাষ্ট্রের মধ্যে সরকার ঢুকে গেছে, আর সরকারের মধ্যে দানব ঢুকে গেছে। এটা মানব সরকার না, এটা হচ্ছে দানব সরকার।’

ক্যাসিনোসহ নানা অপকর্মের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আফসোস লাগে যারা শাসন ক্ষমতায় বসে আছে, জোর করে তারা এই কাজগুলো করছে। এসব করে তারা তাদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার চেষ্টা করছে।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার যুদ্ধ শেষ হয়েছে কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ এখনো চলমান, বহমান। গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বাংলাদেশের মানুষের হারিয়ে যাওয়া ভোটাধিকার ফিরিয়ে পাবার জন্য, এই দস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পাবার জন্য মুক্তিযুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। আর সেই মুক্তি যুদ্ধের অগ্রণী সেনাপতি হবেন বেগম খালেদা জিয়া।’

মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিক উলফাতের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ বক্তৃতা করেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *