আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: নববর্ষের দিন পশ্চিমবঙ্গে চড়ক মেলায় ঘটলো অঘটন। চড়কের দণ্ডে শূন্যে ঘোরার সময় প্রায় পঞ্চাশ ফুট উঁচু থেকে পড়ে মৃত্যু হলো যুবকের। পিঠে লোহার শিক দিয়ে মাংস ফুঁড়ে গামছা বেঁধে চড়ক দণ্ডে ঘুরছিলেন ওই যুবক। শরীরে বাঁধা গামছা খুলে গেলেই ঘটে বিপত্তি। পুরো শিক ডুকে যায় তার শরীরে। এতে মৃত্যু হয় তার।
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের পুরুলিয়ার কেন্দা থানার পারবাদ গ্রামে। মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা গ্রাম। বন্ধ হয়ে গেছে চড়ক মেলা।
পুলিশ জানায়, মৃতের নাম মাগারাম মাহাতো (৩০)। বাড়ি কেন্দা থানার ওই গ্রামেই। গত রোববার থেকেই কেন্দা থানা তথা পুঞ্চা ব্লকের কেন্দা গ্রামে চড়ক মেলা শুরু হয়। ফলে ভোটের বাজারে সব দলের নেতা-কর্মীরাই রোববার থেকে ওই মেলায় জনসংযোগ করছিলেন। তাই ওই মেলা এবার আরো জমজমাট হয়ে উঠে।
দুর্ঘটনাটি ঘটে সোমবার বিকেল চারটার দিকে। তখন মেলায় বিভিন্ন দোকানপাটসহ প্রায় হাজার পাঁচেক মানুষের ভিড় ছিল। প্রায় পঞ্চাশ ফুট উঁচু থেকে মাটিতে পড়ার সঙ্গে-সঙ্গেই এলাকার মানুষ তাকে উদ্ধার করে পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা দেন। ওই ঘটনার পর স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ওই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে।
পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে ওই পরিবারের পাশে দাঁড়াতে বলেছি। ওই পরিবারের যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেটা দেখা হচ্ছে। স্তম্ভিত ওই গ্রাম, কারো মুখে কোনো কথা বের হচ্ছে না। ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে এ ধরণের ভক্তা ঘোরার আয়োজন বিষয়ে মেলা কমিটি সুরক্ষার কী পদক্ষেপ নিয়েছিল?
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওদিন মাগারামই ছিলেন প্রথম ভক্তা। তিনি সফলভাবে শূন্যে ঘুরে নামার পর অন্য ভক্তাদের ঘোরানো হতো। সেই ভক্তারা অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু তাদের আর ওই দণ্ডে উঠতে হয়নি। তার আগেই ওই অঘটনে বন্ধ হয়ে যায় মেলা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পিঠে মাংস ফুঁড়ে থাকা শিকের সঙ্গে বাঁধা গামছার ফাঁস খুলে যাওয়ায় দূর্ঘটনা ঘটে।