তিন ছাত্রের একটি করে পা লোহার শিকলে তালাবদ্ধ করে রাখার দয়ে গাজীপুরের কালীগঞ্জের ভাইয়াসূতি হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার সুপার মো. আরিফুল্লাহকে দুই মাসের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কমিটির সেক্রেটারি বদরুজ্জামান ভূঁইয়া রতন মাস্টার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত সপ্তাহে ওই মাদরাসার তিন ছাত্রকে লোহার শিকলে এক পা তালাবদ্ধ করে রাখার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। পরে ইউএনও মো. শিবলী সাদিক ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসেনের হস্তক্ষেপে তের বছরের ইফাদ, ইয়াসিন ও আজিজুল লোহার শিকল মুক্ত হয়।
এ ব্যাপারে পরিচালনা কমিটির এক জরুরি সভায় মাদরাসা সুপার মো. আরিফুল্লাহকে দুই মাসের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, সভাপতিসহ অন্য সদস্যরা জরুরি সভায় বসে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি যে কোনো ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নিতে চাইলে পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
তিনি আরও জানান, লোহার শিকলে পায়ে তালাবদ্ধ ওই তিন কিশোর ইফাদ, ইয়াসিন ও আজিজুলকে তাদের অভিভাবকরা ইতিমধ্যে নিয়ে গেছে। সুপার মো. আরিফুল্লাহর এমন কর্মকাণ্ডের পর অভিবাভকরা তাদের সন্তানদের আর এই মাদরাসায় পড়ানোর সাহস পাচ্ছেন না।
এদিকে বিভিন্ন গণ্যমাধমে এ খবর প্রকাশ হবার পর ইউএনও ওই তিন ছাত্রকে উদ্ধার এবং বিষয়টি তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছেন। কমিটিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জুবের আলমকে প্রধান এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর-ই-জান্নাত ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসেনকে সদস্য করা হয়। তাদের সাত কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।