ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জুড়ীতে আলোচনা সভা


পরিবেশ, বন ও জলবায়ূ পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এমপি বলেছেন, ৪৭সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগ হওয়ার পর পাকিস্তান বাঙ্গালীকে শাসনের নামে শোষণ করতে থাকে। পাকিস্তানের শোষণ-বঞ্চনার হাত থেকে জাতিকে মুক্তির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জন্ম দিয়েছিলেন। সেই ছাত্রলীগ ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু স্বাধীনতা আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। পরবর্তীতে প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রলীগ মূল নেতৃত্বে ছিল। ছাত্রলীগ কর্মীদের মেধাবী হতে হবে। ছাত্রলীগের মূলনীতি শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি মেনে চলতে হবে। ঐকবদ্ধ ভাবে কাজ করে তৃণমূলে দলকে সংগঠিত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষন আমাদের মুক্তি সংগ্রামের প্রেরণা ছিল। ৭৫সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়েছিল। ২১বছর এদেশের ইতিহাস বিকৃত করে রাখা হয়। রাজাকারের হাতে রক্তে অর্জিত লাল-সবুজ পতাকা তুলে দেয়া হয়। দেশকে পাকিস্তানের করদ রাজ্যে পরিণত করা হয়েছিল। ৯৬সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন ভাতা দেয়া শুরু করেন। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, প্রযুক্তি সব ক্ষেত্রে দেশে উন্নয়ন হচ্ছে। দেশের এগিয়ে যাওয়া বিশ্ব অবাক হয়ে দেখছে। ১২লক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে শেখ হাসিনা মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁরই নেতৃত্বে আজ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে। এখন বাংলাদেশ আর ভিক্ষা নেয় না, ভিক্ষা দেয়।

তিনি শুক্রবার রাতে জুড়ী শিশুপার্কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে উপজেলা ও তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শাহাব উদ্দিন সাবেলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ভূইয়া উজ্জ্বলের পরিচালনায় অনুষ্টানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বদরুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাসুক আহমদ চেয়ারম্যান, বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম।

বক্তব্য রাখেন নজমুল ইসলাম মাস্টার, আব্দুল কাদির দারা, আব্দুুল কাদির, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুুল খালিক সোনা, জুবের হাসান জেবলু, শাইম আহমদ, তাজুল ইসলাম, বদরুল ইসলাম, জাকির আহমদ কালা, আব্দুল কাইয়ূম, মামুনুর রশীদ সাজু, রনজিতা শর্মা, রিংকু রঞ্জন দাস, আহমদ কামাল অহিদ, আশফাক আদনান, গৌতম দাস প্রমুখ।

এর আগে বিশাল বর্ণাঢ্য র‌্যালী উপজেলা শহর প্রদক্ষিণ করে। রাতে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশের প্রখ্যাত শিল্পীরা সঙ্গীত পরিবেশন করেন।