প্রায় ৭৪ বছর বয়সেও তিনি প্রতিবাদী কণ্ঠ। তিনি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আফেন্দি নুরুল ইসলাম। ময়মনসিংহের নান্দাইল শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজ থেকে আধ্যাপক হিসেবে অবসর নিয়েছেন এক যুগের ওপরে। যারা তাঁর কাছে পড়েছেন বা পড়েন নাই সকলেই ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করেন। এক পরিচয় ‘আফেন্দি স্যার’। বেশ কয়েক বছর ধরেই অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। বয়সের ভারে ন্যুব্জ হলেও থেমে নেই তাঁর প্রতিবাদ। বিশেষ করে সরকারের ভালো কাজের প্রশংসা ও খারাপ কাজের সমালোচনা ছাড়াও বিভিন্ন সময় ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ধরনের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে একাই সড়কে নেমে জনসাধরণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এর ব্যতিক্রম ঘটেনি আজও।
সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীবেঁধ নববধূ ধর্ষণকারীদের ‘কার্তিকী কুত্তা’ সম্বোধন করে তাদের ফাঁসি মুক্তমাঠে দেখে চেয়ে ‘১১৩তম’ প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বেড়িয়েছেন। সেই সঙ্গে বিতরণ করেছেন লিফলেট। প্রখর রোদে তিন থেকে চার ঘণ্টা সড়কে সড়কে ঘুরেছেন তিনি।
প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, প্রিয় দেশবাসী নিরীহ, শান্তশিষ্ট উপকারী চারপায়া কুকুরগুলোকে হত্যা করবেন না। দুপায়া নারী ধর্ষক কার্তিকী কুত্তাগুলোর হাত থেকে দেশের নারীদের আমাদের মা-বোনদের রক্ষা করুন। ওদের প্রতিরোধ করুন। এ ধরনের একটি লেখা চাটাইয়ে সাঁটিয়ে হাতে উঁচিয়ে ধরে একাই শহরের বিভিন্ন সড়কে ঘুরে বেড়ান।
এই অভিনব প্রতিবাদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে নান্দাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নাজিম উদ্দিন বলেন, আফেন্দি স্যার সকলের মনের কথাটিই প্রকাশ করে প্রতিবাদে নেমেছেন। সকলের উচিত তাঁর এই প্রতিবাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে রাস্তায় নেমে আসা।