ছেঁচা মাংস তৈরির রেসিপি


গরুর মাংস মানেই জিভে জল আনা খাবার। গরম ভাত, পোলাও, খিচুড়ি কিংবা রুটি- গরুর মাংস খাওয়া যায় সবরকম খাবারের সাথেই। আজ শিখে নিন ছেঁচা মাংস তৈরির রেসিপি। এটি তৈরির প্রক্রিয়া একটু দীর্ঘ হলেও সংরক্ষণ করা যাবে বেশ কিছুদিন-

উপকরণ :
প্রথম ধাপের জন্য:
গরুর রানের মাংস ৪ কেজি (হাড়-চর্বি ছাড়া)
পেঁয়াজবাটা ৪ টেবিল চামচ
আদাবাটা ৪ চা-চামচ
রসুনবাটা ৪ চা-চামচ
হলুদ গুঁড়া ৪ চা-চামচ
মরিচ গুঁড়া ৪ চা-চামচ
ধনিয়া গুঁড়া ৪ চা-চামচ
তেজপাতা ৪টি
লবঙ্গ
এলাচি
দারুচিনি ৪টি করে
সয়াবিন তেল ১ কাপ
লবণ পরিমাণমতো
পানি পরিমাণমতো
গরুর চর্বি ১ কেজি।

দ্বিতীয় ধাপের জন্য:
পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ
কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ
ধনিয়াপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ
টালা জিরা গুঁড়া ২ টেবিল চামচ
টালা ধনিয়া গুঁড়া ১ টেবিল চামচ
গরমমসলা গুঁড়া ১ চা-চামচ
টালা গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা-চামচ
সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ
লেবুর রস স্বাদমতো
লবণ স্বাদমতো
টমেটো কুচি আধা কাপ
কাটা শসা পরিমাণমতো।

প্রণালি: গরুর রানের মাংস চর্বি এবং হাড় ছাড়া নিয়ে প্রতিটি টুকরা ৫০০ গ্রামের মতো নিতে হবে। ধুয়ে পানি ঝরাতে হবে। প্রথম ধাপের সব উপকরণ (চর্বি ছাড়া) মেখে রান্না করে নিতে হবে। এভাবে প্রতিদিন দুই বেলা করে তিনদিন জ্বাল দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে মসলা থেকে মাংস তুলে নিন। অন্য পাত্রে চর্বি জ্বাল দিয়ে রাখতে হবে। চর্বি গলে তেল বের হবে। আরেকটি পাত্রে এই তেল নিয়ে তুলে রাখা মাংস জ্বাল দিতে হবে। চর্বির তেলে যেন মাংস ডুবে থাকে। এভাবে কয়েকদিন পরপর জ্বাল দিয়ে এই মাংস তিন-চার মাস সংরক্ষণ করা যায়। ছেঁচা মাংস রান্না করার সময় এই মাংসের চার টুকরো নিয়ে ছোট ছোট কুচি করে আবার পাটা বা হামানদিস্তায় ছেঁচে নিতে হবে। এবার দ্বিতীয় ধাপের সব উপকরণ (লেবুর রস ছাড়া) মেখে গরম করে ডিশে ঢেলে ওপরে লেবুর রস, কাঁচা পেঁয়াজ কুচি, শসা, ধনিয়াপাতা, কাঁচা মরিচ দিয়ে পরিবেশন করতে হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *