ছোট ভাইয়ের ‘প্রেমিকা’কে ছিনিয়ে নিয়ে গণধর্ষণ


নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্কের জেরে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক মাদ্রাসাছাত্রী (১৪)। ছোট ভাইকে তাড়িয়ে দিয়ে প্রেমিকের বড় ভাই ও তার বন্ধু ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ব্রাহ্মন্দী এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক প্রেমিকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হল- আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দী এলাকায় মোতালিবের ছেলে নজরুল (২৪), তার বড় ভাই বাদল (৩৫), আবুল হোসেনের ছেলে মুসা (২৪)।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী আড়াইহাজার উপজেলার একটি মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।

নজরুল নিজের পরিচয় গোপন করে সাগর নামে পরিচয়ে ওই কিশোরী মাদ্রাসাছাত্রীর সঙ্গে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ১২ অক্টোবর পরীক্ষা ফিসের টাকা নিতে বাসায় আসে ওই ছাত্রী। পরে টাকা নিয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মাদ্রাসায় যেতে বাসা থেকে বের হয়।

আধাঘণ্টা পর ছাত্রীর মা মাদ্রাসায় গিয়ে জানতে পারেন তার মেয়ে মাদ্রাসায় যায়নি। ওই দিন নজরুল ছাত্রীকে ফুসলিয়ে তার সঙ্গে দেখা করে। তাকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।

পরে নজরুলের বড় ভাই বাদল কিশোরীকে নজরুলের সঙ্গে দেখে তাকে শাসিয়ে কিশোরীকে বাড়িতে পৌঁছে দেবে বলে নজরুলকে তাড়িয়ে দেয়।

পরে তার সঙ্গে থাকা বন্ধু মুসাকে নিয়ে ওই রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার রবীন্দ্র বাবুর পুকুরপাড়ের একটি জঙ্গলে নিয়ে পালাক্রমে তারা দুজন ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরে ১৫ অক্টোবর কিশোরী ঘটনার বিষয়ে তার বাবা-মাকে বিস্তারিত জানায়।

পরে মেয়েকে নিয়ে আড়াইহাজার থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করেন তার মা। মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার রাতেই তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

কিশোরীর মা বলেন, আমরা প্রথমে জানতে পারি আমার মেয়েকে নজরুল অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল এবং থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ হলে জানতে পারি তাকে নজরুলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে তার বড় ভাইসহ তার সহযোগী কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ করে। আমরা আসামিদের কঠিন শাস্তি চাই।

আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *