জুভেন্টাসকে বিদায় করে সেমিতে আয়াক্স


ক্রীড়া ডেস্ক :: প্রথম লেগে আয়াক্সের মাঠে ড্র করতে ঘাম ছুটে গিয়েছিল জুভেন্টাস। তবে নিজেদের আঙিনায় ফিরে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর গোলে সেমি-ফাইনালের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল দলটি।

কিন্তু দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানো আয়াক্সের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি মাস্সিমিলিয়ানো আল্লেগ্রির শিষ্যরা। জুভেন্টাসকে তাদের মাঠে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেরা চারে উঠেছে নেদারল্যান্ডসের দলটি।

জুভেন্টাস স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে কোয়ার্টার-ফাইনালের ফিরতি লেগে ২-১ গোলে জিতে আয়াক্স। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ অগ্রগামিতায় ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমের পর এই প্রথম সেরা চারে জায়গা করে নিল দলটি।

দারুণ এই জয়ে ব্যর্থতার এক বৃত্ত থেকেও বেরিয়ে এলো আয়াক্স। আগের দশ দেখায় ইতালির দলটিকে কখনো হারাতে পারেনি তারা। ইয়োহান ক্রুইফ অ্যারেনায় দুই দলের প্রথম লেগের ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়েছিল।

২১তম মিনিটে দনি ফন দে বেকের শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেলে আয়াক্সের ভালো একটি সুযোগ নষ্ট হয়। পরের মিনিটে পাওলো দিবালার ভলি গোলরক্ষক ফেরালে এগিয়ে যাওয়া হয়নি জুভেন্টাসেরও ।

ছয় মিনিট পর রোনালদোর গোলে এগিয়ে যায় ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা জুভেন্টাস। মিরালেম পিয়ানিচের কর্নারে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের হেড এক ড্রপ খেয়ে জালে জড়ায়। ডি-বক্সের মধ্যে আয়াক্সের এক খেলোয়াড় পড়ে যাওয়ায় রেফারি ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্য নিলেও সিদ্ধান্ত বদলায়নি।

প্রতিযোগিতায় টানা তৃতীয় ম্যাচে জালের দেখা পেলেন রোনালদো। আসরে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের এটি ষষ্ঠ গোল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসের রেকর্ড গোলদাতার মোট গোল হলো ১২৬টি।

৩৪তম মিনিটে জুভেন্টাসের স্বস্তি কেড়ে নেয় নেদারল্যান্ডসের দলটি। ডি-বক্সের বাইরে থেকে হাকিমের জোরালো শট ডিফেন্ডারদের গায়ে লেগে পেয়ে যান ফন দে বেক; ঠাণ্ডা মাথায় লক্ষ্যভেদ করেন ২১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। আবারো ভিএআরের সাহায্য নেন রেফারি কিন্তু গোলের সিদ্ধান্ত অটুট থাকায় দুই লেগ মিলিয়ে ২-২ সমতা ফেরে।

দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক আক্রমণে জুভেন্টাসকে কোণঠাসা করে রাখে আয়াক্স। ৫২তম মিনিটে সতীর্থের ছোট পাস ধরে হাকিমের নেওয়া জোরালো শট ফেরান ভয়চেখ স্ট্যাসনি। পাঁচ মিনিট পর ফন দে বেকের শট বাঁক খেয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে ঢোকার আগ মুহূর্তে ফিস্ট করে আবারও জুভেন্টাসের ত্রাতা পোল্যান্ডের এই গোলরক্ষক।

৬১তম মিনিটে রোনালদোর তৈরি করে দেয়া সুযোগ ময়জে কেন লক্ষে রাখতে ব্যর্থ হন। এরপর দুইবার বেঁচে যায় জুভেন্টাস। তেদিচের বাড়ানো ক্রস হাকিমের কাছে পৌঁছানোর আগে বিপদমুক্ত করেন পিয়ানিচ। ৬৫তম মিনিটে ডি-বক্সের মধ্যে তালগোল পাকিয়ে সুযোগ নষ্ট করেন ডি ইয়ং।

জুভেন্টাসের রক্ষণে চাপ ধরে রেখে ৬৭তম মিনিটে এগিয়ে যায় ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমের সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা আয়াক্স। সতীর্থের কর্নার থেকে হেডে জাল খুঁজে নেন মাতাইস দি লিট। বাকিটা সময়ে কঠিন হয়ে যাওয়া সমীকরণ আর মেলাতে পারেনি জুভেন্টাস।