মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বন্যার প্রভাবে উপজেলা পরিষদে প্রাঙ্গণে হাঁটু পানি জমেছে। এই পানির মধ্যেও দাপ্তরিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
গত কয়েকদিনের অব্যাহত বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার জুড়ী-ফুলতলা সড়কের হাফিজিয়া-কলাবাড়ি অংশ বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। এছাড়া জায়ফরনগর ও পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের হাওর তীরবর্তী ১১টি গ্রাম ও ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
জায়ফরনগর ইউনিয়নের বেলাগাঁও, শাহাপুর, নিশ্চিন্তপুর, নয়াগ্রাম, জাঙ্গিরাই, ইউসুফনগর, শিমুলতলা, পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের আমতৈল, চক, তালতলা, খাগটেকা গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে।
জায়ফরনগর ইউনিয়নের শাহাপুর দাখিল মাদ্রাসা, বেলাগাঁও, পূর্ব বেলাগাঁও, শাহাপুর, দিগলবাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের নিরোদ বিহারী উচ্চ বিদ্যালয়, কালনীগড় ও খাগটেকা তালতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিবন্দি হয়ে পড়ায় ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাচ্ছে।
অতিবৃষ্টিতে কিছু টিলা ধসে পড়ায় এবং বড় আকারে টিলা ধসের আশঙ্কা থাকায় মনতৈল গুচ্ছগ্রামের ২০টি পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
একই সাথে বিশ্বনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবার (১৩ জুলাই) রাতে আশ্রয় কেন্দ্র খুলে তাদের সেখানে আশ্রয় ও শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কর্মকর্তারা তাদের নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত। বন্যার হাঁটু পানি মাড়িয়েও উপজেলা পরিষদে বিভিন্ন কাজে আসছেন দুর-দূরান্তের লোকজন।
উপজেলা পরিষদের কৃষি অফিসে বড়ধামাই থেকে আসা কামরুল ইসালাম জানান, জরুরি কৃষি সংক্রান্ত একটি কাগজের জন্য আসছি। এত পানির মধ্যেও এসে কাজ হয়েছে। বন্যার মধ্যে অফিস খোলা রাখায় ধন্যবাদ তাদেরকে।
এদিকে জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অসীম চন্দ্র বণিক বলেন, রোবার সকালে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভায় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জুড়ী নদীতে গেজ বসানো না থাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড পানির সঠিক মাপ বলতে পারেনি।