বর্তমান ব্যস্ত সময়ে প্রতিদিন বাজার করার সময় মেলে না সবার। সেক্ষেত্রে পুরো সপ্তাহের কাঁচা বাজার একদিনেই করে রাখা হয়। যতোই ফ্রিজে রাখা হোক না কেন, সপ্তাহের শেষ দিনগুলোতে গিয়ে শাক-সবজি আর আগের মতো তাজা থাকে না। কিন্তু কিছু উপায় মেনে চললে শাক-সবজি সপ্তাহজুড়েই তাজা থাকবে। চলুন জেনে নেয়া যাক-
লেবু বেশিদিন তাজা রাখতে চাইলে লবণের কৌটার মধ্যে রাখুন।
বাঁধাকপি, মটরশুঁটি, পালংশাকের মতো সবুজ সবজির ফ্লেভার বজায় রাখার জন্য রান্নার সময় আধা চামচ চিনি মেশান। রান্নার শেষের দিকে লবণ মিশিয়ে নিন।
আস্ত ফুলকপি রান্না করার সময় অর্ধেক লেবু ফুলকপির উপরের অংশে ঘষে নিন, কপির মাঝখানে ছুরি দিয়ে কোণাকুণি কেটে দিন, সহজে সিদ্ধ হবে।
লেটুস, পালং শাকের মতো সবুজ সবজি পরিষ্কার করে ধুয়ে পোর্সেলিনের কন্টেইনারে ভরে ফ্রিজে স্টোর করুন। একসপ্তাহের মতো ফ্রেশ থাকবে।
লেটুস পাতার তাজাভাব বজায় রাখার জন্য ধোয়ার সময় পানির মধ্যে অল্প লেবুর রস মিশিয়ে নিন।
বাঁধাকপি ও ফুলকপির সতেজভাব বজায় রাখার জন্য রান্নার সময় এক চা চামচ লেবুর রস মেশান। সবজির সুন্দর সাদা রং অক্ষুণ্ন থাকবে।
ব্যবহারের একদিন আগে রসুনের কোয়া আলাদা করে নিয়ে বোতলে ভরে ফ্রিজে রাখুন, পরের দিন সহজে রসুন ছাড়িয়ে নিতে পারবেন। একসঙ্গে অনেক রসুন পেস্ট করতে চাইলে আগের দিন রাতে রসুনের কোয়াগুলো পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন আলাদা করে রসুনের খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে না।
রসুনের কোয়ার উপর সামান্য তেল ঘষে রোদে শুকনো করে নিন। সহজে রসুনের খোসা ছাড়িয়ে নিতে পারবেন।
কাঁচামরিচের বোঁটা ছাড়িয়ে নিতে মাঝখানে সামান্য চিরে রাখুন, তারপর এতে লবণ-হলুদ মেখে রোদে শুকিয়ে নিয়ে স্টোর করুন। বেশিদিন তাজা থাকবে।
মুলা রান্না করার আগে পাতলা করে মুলার খোসা ছাড়িয়ে নিন। মুলার গন্ধ কমে যাবে।
ব্রাউন পেপার ব্যাগে টমেটো স্টোর করুন, ভালো থাকবে। একইভাবে মাশরুম স্টোর করতে পারেন।
কাঁচামরিচের বোঁটা ছাড়িয়ে রাখুন। আদা ফ্রিজে রাখতে পারেন। বেশিদিন তাজা থাকবে।
ফুলকপি ছোট ছোট করে কেটে এয়ারটাইট প্যাকে ভরে ফ্রিজে রাখতে পারেন।
ক্যাপসিকাম অর্ধেক কেটে ফেলে না রাখতে পারলেই ভালো। তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আলু বেশিদিন ভালো রাখার জন্য আলুর সঙ্গে ব্যাগে ভরে একটা আপেল রাখুন। আলু সহজে পচে যাবে না।
পেয়াজ, বেগুন, স্কোয়াশের মতো সবজি ফ্রিজের বাইরে রাখুন। ভালো থাকবে, ফ্রিজের বাইরে পরিষ্কারে কন্টেইনারে স্টোর করুন।
টমেটো ফ্রিজে পলিথিন প্যাকেস্টোর করবেন না। বাইরে স্টোর করতে পারেন। ভালো থাকবে।