টাকা নিয়েও ত্রাণের স্লিপ দেননি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা


তেলের খরচ হিসেবে কিছু টাকা নিয়েছি। তবে তা মাত্র ১৫টি স্লিপ বাবদ। আপনারা বললে তাদের টাকা দ্বিগুণহারে ফেরত দেব’

করোনাভাইরাসের কারণে ঘরবন্দী ক্ষুধার্ত-কর্মহীন মানুষের জন্য সরকারি ত্রাণের স্লিপ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আজম আলীর বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে টাকা দিয়েও স্লিপ পাননি বলেও অভিযোগ করেছেন দুই ব্যক্তি।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদে গত মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) সরকারি ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ওই ত্রাণের ২৫টি স্লিপ বিতরণ করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও হাজারীহাট মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদরাসার জীব বিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষক আজম আলী সরকার।

ত্রাণের এই স্লিপ দেওয়ার জন্য তিনি প্রত্যেকের কাছ থেকে আদায় ১০০ টাকা করে আদায় করেন। ২৭ জন নারী-পুরুষ আজম আলীকে দুই হাজার ৭০০ টাকা দেয়। কিন্তু স্লিপ দেওয়ার সময় ২৫টি স্লিপ বিতরণ করা হলেও বাকি দুইজনের স্লিপ দেওয়া হয়নি। এছাড়া টাকা না দিয়েও স্লিপ পাননি অভিযোগ করে শিল্পী বেগম নামের এক নারী বলেন, আজম বলেছে যে টাকা দিবে সে স্লিপ পাবে। ত্রাণ নিতে হলে টাকা দিয়েই স্লিপ নিতে হবে। কিন্তু টাকা দিয়েও আমি স্লিপ পাইনি।

এছাড়া এলাকার টাকা দিয়ে স্লিপ নেওয়া জিকরুলের ছেলে জিল্লুর, রশিদুলের স্ত্রী সাইতি, আমিনুলের স্ত্রী শাহানা, কাল্টিয়ার স্ত্রী হোসনে আরা, বাচ্চুর স্ত্রী মিনুসহ আরও অনেকে অভিযোগ করে জানান, আজম আলী ১০ কেজি করে ত্রাণ দিবে বলে ১শ’ করে টাকা নিয়ে আমাদের স্লিপ দিয়েছে। তবে সকলের অভিযোগ ৮-৯ কেজি করে চাল পেয়েছেন তারা।

এ ব্যাপারে, শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সকালে খাতামধুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুয়েল চৌধুরীর মুঠোফোনে জানান, আমার মেম্বার বা গ্রাম পুলিশ কেউ স্লিপ দিয়ে টাকা নেয়নি। তবে কে বা কারা স্লিপ বিক্রি করেছে তা আমার জানা নেই।স্লিপ কিনে নেওয়া ব্যক্তিরা কিভাবে আপনার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ত্রাণ পেল, এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন,“ ১ নং ওয়ার্ডের মানুষগুলো আমার পরিষদ থেকে চাল নিয়েছেন। কিন্তু কে তাদের স্লিপ দিয়েছে তা আমার জানা নেই।”

তবে স্লিপের বিনিময়ে টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে আজম আলী সরকার বলেন, তেলের খরচ হিসেবে কিছু টাকা নিয়েছি। তবে তা মাত্র ১৫টি স্লিপ বাবদ। আপনারা বললে তাদের টাকা দ্বিগুণহারে ফেরত দেব।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *