প্রথম ম্যাচে বড় হার। কিন্তু সেই হারে আত্মবিশ্বাস নড়ে যাবে কি, উল্টো যেন আরও উজ্জীবিত চেহারায় হাজির ঢাকা প্লাটুন। হারের পর টানা দুই ম্যাচে সহজেই জিতেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। আজ শনিবার মিরপুরে তারা ২৪ রানে হারিয়েছে সিলেট থান্ডার্সকে।
১৮৩ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে যেভাবে এগুনো দরকার ছিল, সেটা কখনই পারেনি সিলেট। নিয়মিত বিরতিতেই তারা উইকেট হারিয়েছে। উপরের সারির ৫ ব্যাটসম্যানের কেউ ২০ রানও করতে পারেননি। ৬১ রানে ৫ উইকেট হারায় দলটি।
অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন একাই যা লড়েছেন। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ৪৪ বলে ৬০ রান, যে ইনিংসে ছিল ৬টি চার আর ২টি ছক্কার মার। সিলেটের ইনিংস থামে ৭ উইকেটে ১৫৮ রানে।
ঢাকার পক্ষে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৯ রানে ২টি উইকেট নেন মাশরাফি। সমান ওভারে ২৪ রান খরচায় ২টি উইকেট পান তরুণ পেসার হাসান মাহমুদও।
এর আগে ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের ঝড়ো এক হাফসেঞ্চুরি ইনিংসে ভর করে ৪ উইকেটে ১৮২ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় ঢাকা প্লাটুন।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা ঢাকাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল আর এনামুল বিজয়। ৫৮ বলে তারা গড়েন ৮৫ রানের জুটি। তামিম কিছুটা দেখেশুনে খেলছিলেন। খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে গিয়েই বিপদে পড়েন। ২৮ বলে ৩১ রান করে তিনি মোসাদ্দেক হোসেনের বলে স্ট্যাম্পিং হন।
তবে ঝড়ো ফিফটি তুলে নেন বিজয়। ১৪তম ওভারে এসে দেলোয়ার হোসেনের কাছে পরাস্ত হন ডানহাতি এই ওপেনার। ৪২ বলে ৮ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় করেন ৬২ রান।
এরপর ছোটখাটো ঝড় তুলে ফেরেন জাকের আলী, ১২ বলে ২ ছক্কায় করেন ২০ রান। তার আগে বল সমান রান (২১ বলে ২১) করে সাজঘরের পথ ধরেন লরি ইভান্স।
শেষদিকে এসে চালিয়ে খেলেছেন থিসারা পেরেরা আর ওয়াহাব রিয়াজ। ১১ বলে ১ চার আর ২ ছক্কার মারে পেরেরা অপরাজিত থাকেন ২২ রানে। ৭ বলে ২ ছক্কায় ১৭ রান করেন ওয়াহাব।
সিলেটের পক্ষে একটি করে উইকেট নেন নাইম হাসান, ইবাদত হোসেন, মোসাদ্দেক আর দেলোয়ার হোসেন।