ট্রেন দুর্ঘটনার দায় সরকারকেই নিতে হবে


মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার বরমচালে আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার দায় সরকারকেই নিতে হবে বলে দাবি করেছেন বাসদ(মার্কসবাদী) সিলেট জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।

এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার (২৪ জুন) বিকাল ৪টায় নগরে বাসদ(মার্কসবাদী) সিলেট জেলা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।

সমাবেশে বলা হয়, রোববার রাত ১ টায় মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার বরমচালে সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন স্মরণ কালের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় কবলিত হয়। ৫টি বগি ট্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ১ টি বগি ব্রিজ থেকে নদীতে পড়ে যায়। ইতোমধ্যে ৪ জন নিহত ও শতাধিক আহত হওয়ার খবর প্রকাশ পেয়েছে। নিহতের সংখ্যা বাড়বে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ১৮ ই জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহবাজপুরে সেতু-ফুটপাতসহ রেলিং ভেঙে পড়ায় সিলেটের সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধি পায়। প্রায় ২/৩ গুণ বেশি যাত্রী পরিবহন করেছে ট্রেন, যার ফলশ্রুতিতে এ দুর্ঘটনা । যার দায় সরকারকেই নিতে হবে।

নগর ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলার আহবায়ক কমরেড উজ্জ্বল রায়। সুশান্ত সিনহার পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট হুমায়ুন রশীদ সোয়েব, মোখলেছুর রহমান, রুবাইয়্যাৎ আহমদ, সঞ্জয় কান্ত দাশ প্রমুখ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, প্রায় ৬দিন যাবত মহাসড়ক বন্ধ কোন বিকল্প ব্যবস্থা সরকার করতে পারেনি । এরকম পরিস্থিতিতে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা চালুকৃত ট্রেনসমূহে বগিসংখ্যা বৃদ্ধি করলে এবং জরাজীর্ণ রেল লাইন দ্রুত সংস্কার করলে এরকম ভয়াবহ দুর্ঘটনার হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করা যেত। ফলে এর দায় সম্পূর্ণ সরকারের  বিশেষ করে রেলমন্ত্রী ও সড়কমন্ত্রীকে নিতে হবে।

দুর্ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান এবং দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান, আহতদের সুষ্ঠ চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয় সমাবেশে ।

বক্তার আরো বলেন, বাসদ(মার্কসবাদী ) দীর্ঘদিন যাবত দাবি করছে সিলেট-ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল লাইন চালু করা, ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি ও চালুকৃত ট্রেনসমূহে বগি সংখ্যা বৃদ্ধি করা, কোন হয়রানী ছাড়া টিকেট প্রাপ্তির ব্যবস্থা করে রেল ব্যবস্থার আধুনিকরণ করার, কিন্তু সরকার নানা আশ্বাসেই তার দায়িত্ব সীমাবদ্ধ রাখছে। অথচ উন্নয়নের কথা বলে জনগণের উপর দুঃশাসন ছাপিয়ে রেখেছে এর বিরুদ্ধে জনগণকে আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশ শেষে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিক্ষোভ মিছিল সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেষ হয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *