ডেনমার্ক আওয়ামীলীগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৪৪ তম শাহাদত বার্ষিকী পালন


জাতির পিতা ও বাংলাদেশের স্হাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ৪৪ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করে ডেনমার্ক আওয়ামী লীগ।
কোপেনহেগেনের , স্হানীয় নরোব্ররো হলের মিটিং রুমে ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা মজুমদার বাচ্চুর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা ও মিলাদ মহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ,ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাঃ বাবু সুভাষ ঘোষ , রিয়াজুল হাসনাত রুবেল। সহ-সভাপতিঃ, খোকন মজুমদার, মোহাম্মদ ইসমাইল যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম , বোরহান উদ্দিন ,বেলাল হোসেন রুমি সাংগঠনিক সস্পাদক গোলাম কিবরিয়া শামীম,শামীম খালাসী, মোহাম্মদ সোহাগ এবং সদস্য মো: ওয়ালী হোসাইন রিপন। অনুষ্ঠানে কোরআন থেকে তেলোয়াত ও মিলাদ পরিচলনা করেন সংগঠনের আন্তর্জাতিক সস্পাদক সফিকুল ইসলাম এবং জাতির পিতা ‘বঙ্গবন্ধু’ , বঙ্গমাতা, জাতীয় চারনেতা, ভাষা শহীদ ও ১৯৭৫এর ১৫ই আগস্ট শহীদ ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইব্রাহিম তুহীন খাঁন, যুব ও স্পোর্ট সম্পাদক, আনোয়ার হোসেন পলাশ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক : শিপন মোহাম্মদ, তত্ত্ব ও গবেষণা সম্পাদক, শরীফুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক :সম্পাদক আজাদুর রহমান, অভিবাসন সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ, কার্ষকারী কমিটির সদস্য অনু মিয়া, তাজবির আহমেদ, রাজু আহম্মেদ, আশরাফ ফরাদ, নাজিম উদ্দিন, রাসেল মাতবার, এরশাদ মিয়া, নিজাম উদ্দিন বলী, বাবু, সোহেল খাঁন, সফিকুর রহমান, আব্দুর রহমান, রনি আলম, আবু সোয়েব, রাসেল।সাইদুর রহমান,নাজমুল ইসলাম,সাফায়েত অন্তর,সামছু আলম, রনি ওমর, ও শামীম খাঁন।
এছাড়াও উপস্হিত ছিলেন ডেনমার্ক আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জনাব নাজিম উদ্দিন ও সাধারন সস্পাদক রনি আলম সহ আরও অনেকে। বক্তারা বলেন,পঁচাত্তর পরবর্তী বাংলাদেশ ঘোর অমাবশ্যায় ডুবে থাকা এক জনপদের নাম। একটা সময় পর্যন্ত অবস্থা এমন ছিল যে, কোন আশা নেই, ভালবাসা নেই, আছে শুধু লোমহর্ষক হত্যা আর ষড়যন্ত্রের জাল বুননের নানা কাহিনী। প্রতি মুহূর্তেই দৃশ্যপটের পবির্তন ঘটেছে আর মৃত্যু হয়েছে আমাদের স্বাধীন বাংলার মানুষের স্বপ্নগুলোর। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বপ্নগুলোকে হায়েনার দল ক্ষতবিক্ষত করে যেন প্রতিশোধের উন্মত্ততায় মেতে উঠেছিল। স্বপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যার পর সংবিধানকেও কাটাছেঁড়া করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শগুলোকে বিদায় করতে চেয়েছিল ক্ষমতা দখলকারী অপশক্তি খুনি জিয়া ।নতুন প্রজন্মের তরুণদের কাছে সে সময়গুলো যেন অনেকটা অস্পষ্ট-ধোঁয়াশা। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বক্তারা আরও বলেনঃ অসাম্প্রদায়িকতা ছিল বঙ্গবন্ধুর চরিত্রের একটা বিশেষ গুণ। তাই অসাস্প্রদায়িক বাংলাদেশকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ঠ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে পকিস্তানী মন্ত্রে ও চেতনায় সুকৌশলে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিনত করেছিল বিএনপি ও জামাতের নেতা খুনি জিয়া । স্বাধীনতার চেতনাকে বিকৃত করে দেশকে পরাধীন রাষ্ট্রে পরিনত করেছিল। এমনকি স্কুল কলেজের পাঠ্য বইগুলোতে স্বাধীনতার ভুল ইতিহাস সংযোজন করেছিল খুনি জিয়া ও তার সরকার।খুনি জিয়া প্রকৃত পক্ষে ছিল পাকিস্তানের এজেন্ট যার সাথে ছিল বঙ্গবন্ধুর খুনি মেজর ডালিম ও কর্নেল রশিদের গোপন যোগাযোগ এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে নিষিদ্ধ ইসলামিক রাজনৈতিক দলগুলিকে যারা দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কাজ করে ছিল তাদেরকে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে দেশকে জঈী রাষ্ট্রে পরিনত করেছিল।বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধকারী রাজাকারদের দেশে এনে পুর্নবাসন করেছিল। সংগঠনের সাধারন সস্পাদক : মাহবুবুর রহমান বলেন, বঙোবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তারা শুধু একজন ব্যক্তিকেই হত্যা করেনি তারা পুরা জাতিকে হত্যা করতে চেয়ে ছিল। কিন্তু তাদের জানা ছিল না একজন ব্যক্তিকে হত্যার মধ্যমে তাঁর চেতনাকে হত্যা করা যাই না ।বঙোবন্ধুর চেতনা ধারন করে স্বাধীনতার অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরনে তাঁরই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দিন রাত বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের মর্যাদা আজ অনেক উপরে। বক্তারা শোক দিবসে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে নিয়ে ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবি জানান। উপস্থিত নেতৃবৃন্দদের সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্তি হয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *